মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য বরাদ্দকৃত ৮০টি আসনের বিপরীতে এবছর আবেদন করেছেন তিন (০৩) বিদেশি শিক্ষার্থী। তবে আরো বেশ কিছু আবেদন পেন্ডিং রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সেকশনের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান।
এছাড়াও এবছর ১ জন সোমালিয়ার শিক্ষার্থী মাস্টার্স প্রোগ্রামে এবং ২ জন নেপালি শিক্ষার্থী পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছেন। স্নাতক পর্যায়ের ভর্তি, একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরবর্তী ১ মাস পর্যন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১০১ জন। তন্মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৮০ জন, মেয়ে শিক্ষার্থী ২১ জন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আবাসিক হলের ব্যবস্থা না থাকায় ছেলেরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলে এবং মেয়েরা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে অবস্থান করেন।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের হল-সুপার প্রফেসর ড. মো. মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, 'বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক স্থানের সাথে, বিশেষ করে মেয়েদেরকে দেশীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক অসুবিধা দেখভাল, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে'।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ভিসা জটিলতা, সেশন জট, সীমিত সুযোগ সুবিধা, নানান সংকট ও জটিলতায় বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সেকশনের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, 'সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সেকশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন, নিরাপত্তা ও স্থানীয় সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভর্তির জন্য দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইমেইলের পাশাপাশি হটসঅ্যাপ ব্যবহার করছি'।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, 'বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা জটিলতা সহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেসব খুঁজে বের করে সমাধান করার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয়।'
দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গত এক দশকে সর্বোচ্চসংখ্যক বিদেশি গ্রাজুয়েট তৈরী করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। হাবিপ্রবিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ২০১৪ সালে ভর্তি হয় মোট ২২ জন, ২০১৫ সালে ৪২ জন, ২০১৬ সালে ৫৯ জন, ২০১৭ সালে ৬১ জন, ২০১৮ সালে ৬১ জন, ২০১৯ সালে ২৫ জন এবং ২০২০ সালে ৪ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা যায়।
নেপাল, ভুটান, ভারত, জিবুতি,নাইজেরিয়া ও সোমালিয়ার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় একসময় মুখরিত থাকতো উত্তর জনপদের আশার বাতিঘর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। অথচ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির হার। সর্বশেষ ২০২৪ সেশনে ১৮ জন ভর্তির আবেদন করলেও আসেননি অনেকেই।
একে