শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানির জয়ে কেন ক্ষিপ্ত মোদি–ভক্তরা

শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫
ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানির জয়ে কেন ক্ষিপ্ত মোদি–ভক্তরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে জোহরান মামদানি হবেন এ শহরের প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র। সেই সঙ্গে শহরটির প্রথম মুসলিম ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়রও হবেন তিনি।

জোহরানের এ পরিচয় তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে অগ্রণী এক মুখে পরিণত করেছে। তবে এটিই আবার ভারত এবং প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে তীব্র বিতর্ক ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।

গত ২৪ জুন ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচনে (প্রাইমারি) ব্যাপক ব্যবধানে জেতার পর থেকেই জোহরানের প্রচারাভিযান ঘিরে একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্য আসতে শুরু করেছে। এর একটি অংশ আসছে দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী মহল থেকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব আক্রমণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থক ও তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচকদের মধ্যে, বিশেষত দেশটিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিনের বৈরিতারই এক প্রতিফলন।

এ আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জোহরানের ধর্মীয় পরিচয়। ৩৩ বছর বয়সী এ রাজনীতিক একজন মুসলিম। অনেকেই তাঁকে ‘জিহাদি’ ও ‘ইসলামপন্থী’ আখ্যা দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, তিনি হিন্দুবিরোধী ও ভারতবিরোধী।

গত ২৪ জুন ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচনে (প্রাইমারি) ব্যাপক ব্যবধানে জেতার পর থেকেই জোহরানের প্রচারাভিযান ঘিরে একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্য আসতে শুরু করেছে। এর একটি অংশ আসছে দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী মহল থেকে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’ (সিএসওএইচ)-এর গবেষণা পরিচালক কায়লা ব্যাসেট মনে করেন, জোহরানকে আক্রমণের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কেই নিশানা করা হচ্ছে।

কায়লা বলেন, ‘এটা (হিন্দুত্ববাদীদের জোহরানের সমালোচনা) শুধু একজন ব্যক্তি নিয়ে নয়। এটি একধরনের বর্ণনাকে জোরদার করার চেষ্টা যে—মুসলিম মানেই “সন্দেহের পাত্র” অথবা তাঁরা আমেরিকান হতে পারেন না।’

মোদির দল থেকেই তীব্র সমালোচনা
নিউইয়র্কের ভোটারদের মধ্যে নিজের সমর্থন বাড়াতে কাজ করে চলেছেন জোহরান মামদানি। কিন্তু ওই নেতিবাচক প্রচার তাঁর প্রচারাভিযানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে।

নভেম্বরে জোহরান লড়বেন সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের সঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে, চূড়ান্ত ভোটে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস। ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে তাঁর প্রতিপক্ষ সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো এখনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বাতিল করেননি।

নিজের মুসলিম পরিচয়কে যে সাহসের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন মামদানি, সেটাই তাঁকে আজ এগিয়ে দিয়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মুসলিমবিদ্বেষের আশঙ্কা যেভাবে বাড়ছে, মামদানি ঠিক তার জবাব হতে পারেন।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বরাবরই মুখ খুলেছেন জোহরান মামদানি, তা গাজা হোক বা ভারত—সব জায়গার ব্যাপারেই। জোহরানের এ স্পষ্টবাদী অবস্থানে শুধু তাঁর দেশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরাই নন, বিদেশের অনেকেও সমালোচনা করেছেন।

জোহরানের এসব বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্যরাও, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর মেয়র পদে উপযুক্ততা নিয়েও।

বিজেপির সংসদ সদস্য ও বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘তিনি (জোহরান) তো ভারতীয়র চেয়ে পাকিস্তানির মতো শোনাচ্ছেন।’ এরপরই জোহরানের মা ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক মীরা নায়ারের হিন্দু পরিচয় টেনে এনে তিনি বলেন, ‘তাঁর (জোহরান) হিন্দু পরিচয় বা বংশ যা–ই হোক; এখন দেখছি, তিনি হিন্দুধর্ম ধ্বংস করতেই উদ্‌গ্রীব।’

জোহরানের প্রাথমিক নির্বাচনী জয় পাওয়ার পরপরই বিজেপিপন্থী সুপরিচিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজ তক’ একটি প্রতিবেদনে দাবি করে, তিনি এমন সব সংগঠন থেকে অর্থ সহায়তা পেয়েছেন, যারা ভারতবিরোধী কাজ করে। প্রতিবেদনে নিউইয়র্কে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে—এমন এক ধারণায় উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি পর্দায় আবৃত নারীদের ভিডিও চিত্রও দেখানো হয়।

প্রবাসী ভারতীয়দের দিক থেকে সমালোচনা
তবে শুধু ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই জোহরানের বিরুদ্ধে প্রচার। যুক্তরাষ্ট্রেও কিছু প্রবাসী ভারতীয় গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর গবেষণা পরিচালক কায়লা ব্যাসেট মনে করেন, জোহরানকে আক্রমণের মাধ্যমে পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কেই নিশানা করা হচ্ছে।

নিউ জার্সিভিত্তিক সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান আমেরিকানস ফর কুমো’ ৩ হাজার ৫৭০ ডলার খরচ করে নিউইয়র্ক শহরের আকাশে উড়োজাহাজ উড়িয়ে একটি ব্যানার প্রদর্শন করেছে। তাতে লেখা ছিল, ‘গ্লোবাল ইন্তিফাদা (ইন্তিফাদা দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ বা অভ্যুত্থান অর্থে ব্যবহৃত হয়) থেকে নিউইয়র্ককে বাঁচান। মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করুন।’

মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচক
জোহরানের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে তাঁর সরব অবস্থান, বিশেষ করে হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা।

২০২০ সালে টাইমস স্কয়ারে এক বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জোহরান ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে হিন্দু মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদ জানান, প্রশ্ন তোলেন বিজেপির ভূমিকা নিয়ে। বলেন, ‘আমি আজ এখানে প্রতিবাদ করতে এসেছি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে, যারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসে ভূমিকা রেখেছে।’ ১৯৯২ সালে হিন্দু উগ্রপন্থীরা মসজিদটি ধ্বংস করে দেন।

নরেন্দ্র মোদি পরিকল্পিতভাবে গুজরাটে মুসলমানদের গণহত্যা ঘটিয়েছেন। এমন অবস্থা হয়েছে যে অনেকে তো বিশ্বাসই করতে চান না, এখনো গুজরাটে মুসলমান আছে। আমি যখন বলি, আমি গুজরাটি মুসলিম, তখন সবাই অবাক হয়ে যান।

পরে ২০২৩ সালে মোদির নিউইয়র্ক সফরের আগে জোহরান জেলে থাকা ভারতীয় অধিকারকর্মী উমর খালিদের লেখা পাঠ করে শোনান। উল্লেখ্য, উমর খালিদ ২০২০ সাল থেকে বিচার ছাড়াই ‘সন্ত্রাসবাদের’ মামলায় কারাগারে আছেন। মোদি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন উমর।

অতিসম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেয়র প্রার্থীদের এক টাউন হলে জোহরানকে প্রশ্ন করা হয়, মোদি নিউইয়র্কে এলে তিনি দেখা করবেন কি না। তাঁর উত্তর ছিল স্পষ্ট, ‘না, করবেন না। তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী।’

জোহরান বলেন, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদি সহিংসতা থামানোর জন্য কিছুই করেননি। সেই দাঙ্গায় হাজারখানেক মানুষ নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন মুসলমান। ওই ঘটনার পর ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র মোদিকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

সুচিত্রা বিজয়ন উল্লেখ করেন, মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য রাশিদা তালিব ও ইলহান ওমরের মতো মুসলিম নেতারাও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মোদির সমালোচনা করে একই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

জোহরান বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি পরিকল্পিতভাবে গুজরাটে মুসলমানদের গণহত্যা ঘটিয়েছেন। এমন অবস্থা হয়েছে যে অনেকে তো বিশ্বাসই করতে চান না, এখনো গুজরাটে মুসলমান আছে। আমি যখন বলি, আমি গুজরাটি মুসলিম, তখন সবাই অবাক হয়ে যান।’

শ্রেণি ও ধর্মের বিভাজন
সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটির যোগাযোগ বিষয়ের অধ্যাপক রোহিত চোপড়ার মতে, মোদির বিরুদ্ধে জোহরানের এ নির্ভীক অবস্থানই তাঁকে হিন্দুত্ববাদীদের নিশানা বানিয়েছে।

রোহিত চোপড়া বলেন, ‘হিন্দু দক্ষিণপন্থীরা ২০০২ সালের ঘটনাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। মোদিকে ভিসা না দেওয়ার ইতিহাস তাঁরা চেপে রাখতে চান।’ তিনি আরও বলেন, হিন্দু আমেরিকানদের মধ্যে শ্রেণিবিভাজনও জোহরানের প্রতি অনাস্থার কারণ।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪ শতাংশ এশীয় হিন্দু পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লাখ ডলারের বেশি এবং ৬০ শতাংশ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

তিনি (জোহরান) তো ভারতীয়র চেয়ে পাকিস্তানির মতো শোনাচ্ছেন। তাঁর (জোহরান) হিন্দু পরিচয় (মা ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক মীরা নায়ার) বা বংশ যা-ই হোক; এখন দেখছি, তিনি হিন্দুধর্ম ধ্বংস করতেই উদ্‌গ্রীব।

চোপড়া বলেন, ‘এ আর্থিক সচ্ছলতা থেকে সামাজিক দূরত্ব তৈরি হয়। তাঁদের অনেকে সেই হিন্দুদের সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পান না; যাঁরা ট্যাক্সি চালান, রেস্তোরাঁয় কাজ করেন বা সাধারণ কোনো পেশায় নিয়োজিত আছেন।’

বেশির ভাগ আক্রমণই পরিচয় ঘিরে
নিউইয়র্কভিত্তিক লেখক ও অনলাইন ম্যাগাজিন ‘পোলিস প্রজেক্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা সুচিত্রা বিজয়ন বলেন, জোহরানের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ আক্রমণই তাঁর পরিচয় ঘিরে। ‘মামদানি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, যিনি নিজের মুসলিম পরিচয় গর্বের সঙ্গে বহন করেন’, বলেন তিনি।

সুচিত্রা বিজয়ন উল্লেখ করেন, মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য রাশিদা তালিব ও ইলহান ওমরের মতো মুসলিম নেতারাও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মোদির সমালোচনা করে একই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

তবে জোহরানের বেলায় বিষয়টা আরও স্পর্শকাতর। ‘তিনি মুসলিম, আফ্রিকান, আবার তাঁর বাবা গুজরাটি বংশোদ্ভূত—যিনি নিজেও গুজরাট গণহত্যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন’, বলেন সুচিত্রা।

ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষের জবাব হতে পারেন জোহরান
এসব নেতিবাচক প্রচার সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সংগঠকেরা মনে করছেন, জোহরানের প্রচার দক্ষিণ এশীয় ডেমোক্র্যাট ভোটারদের ব্যাপকভাবে সক্রিয় করতে পারবে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের হিসাব, নিউইয়র্ক শহরে ৭ লাখ ১০ হাজার ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বাস করেন। এ সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত মাসে মেয়র নির্বাচনের প্রাথমিক বাছাই বা প্রাইমারি ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, জোহরান ব্যাপক ভোট পেয়েছেন এশীয়–অধ্যুষিত এলাকা লিটল বাংলাদেশ, জ্যাকসন হাইটস ও পার্কচেস্টারে। ১ জুলাই প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, তিনি কুমোকে হারিয়েছেন ৫৬–৪৪ শতাংশ ভোটে।

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির গণমাধ্যমবিষয়ক অধ্যাপক অরবিন্দ রাজাগোপাল বলেন, ‘তাঁর বিজয়কে অনেকে ভূমিধসের মতো বলছেন। তিনি শুধু স্প্যানিশ নয়, হিন্দি, উর্দু ও কিছুটা বাংলাও বলতে পারেন। এমন প্রার্থী আজকাল খুবই বিরল।’

রাজাগোপাল আরও বলেন, ‘নিজের মুসলিম পরিচয়কে যে সাহসের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন মামদানি, সেটাই তাঁকে আজ এগিয়ে দিয়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মুসলিমবিদ্বেষের আশঙ্কা যেভাবে বাড়ছে, মামদানি ঠিক তার জবাব হতে পারেন।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে বলেছিলেন, ‘মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত।’ তাঁর যুক্তি ছিল, মুসলিমরা ‘ঘৃণা ও হুমকির উৎস’।

অধ্যাপক রাজাগোপাল বলেন, ‘ট্রাম্পের এই সময়ে তাঁরই প্রতিরোধ হয়ে উঠেছেন মামদানি। তাঁর জয় হিন্দুত্ববাদীদের জন্য একটা বড় বার্তা।’

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল