নিজস্ব প্রতিবেদক:
গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (২৬ জুলাই) সাবকে এমপি শাম্মীর বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে আটক হন সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী ওই চারজন। তাদের গুলশান থানায় হেফজতে রাখা হয়।
পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাতেই গুলশান থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। পরে সেই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আসামিরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদাব ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।
এদের মধ্যে রিয়াদ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। গ্রেফতারের পর শনিবারই সংগঠন দুটি থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন।
শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পাঁচ যুবক। তিনি পলাতক থাকায় তার স্বামীর কাছে এ চাঁদা দাবি করা হয়। কয়েক দিন আগে তারা ওই বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন।
সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা আবার ওই বাসায় যান স্বর্ণালঙ্কার আনতে। সে সময় বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রিয়াদসহ সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া পাঁচজনকে আটক করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়। পরে হয় মামলা।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৭ জুলাই আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বাদীর গুলশান- ২ এর বাসায় হুমকি ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চাঁদা দাবি করেন। অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে আওয়ামী লীগের ও স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন।
সেই ভয়ে তাদের ১০ লাখ টাকা দেন তিনি। পরে ১৯ জুলাই পুনরায় বাকি ৪০ লাখ টাকার জন্য হুমকি দেন। এরপর ২৬ জুলাই চাঁদা নিতে এলে গুলশান থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এর মধ্য থেকে কাজী গৌরব অপু নামে একজন পালিয়ে যায়।
এমআই