সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতনামা কারেন্সি টেকনোলজিস্ট ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের বই "ব্যাংক নোট এন্ড সেন্ট্রাল ব্যাংক"–এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। আধুনিক, টেকসই ও জনগণের জন্য কার্যকর ব্যাংকনোটের ডিজাইন, উৎপত্তি, মুদ্রণ, প্রচলন, বিতরণ, যাচাই, ধ্বংস, হ্যান্ডলিং, সংরক্ষণ এবং জালনোট প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল নিয়ে নিয়ে তিনি এই বই লিখেছেন। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বইটি। বইটির মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে সাত হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ লাখ ১৯ হাজার ২৬৭ টাকা।
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘ব্যাংক নোট ও সেন্ট্রাল ব্যাংক’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ক্রেন অথেনটিকেশন সেলস ডাইরেক্টর সাচা ড্রোবা, সুইজারল্যান্ডের ব্লমারের সিইও রয় ব্রুডেরার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মুবারক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে এই প্রথম ব্যাংক নোটের ওপর গবেষণামূলক বই প্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। বইটির লেখক ড. জালাল উদ্দীন তার ৩৫ বছরের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বইটি সাজিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি, গবেষণামূলক এই বইয়ের মাধ্যমে দেশ অনেক উপকৃত হবে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংক নোট ও সেন্ট্রাল ব্যাংক’ বইটি ব্যতিক্রমী ও ইউনিক বই। এটি দেশ-বিদেশে সমাদৃত হবে। একটি দেশের ব্যাংক নোট কেমন হওয়া উচিত, তার ডিজাইন ও ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা ও রিজার্ভের নিরাপত্তা—সবই বইটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবনে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি আধুনিক ব্যাংক নোট এবং সেন্ট্রাল ব্যাংকের কার্যক্রমে ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।’
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের শুরুতে বইয়ের ওপর প্রেজেন্টশন দেন লেখক ড. জালাল উদ্দিন। তিনি অনুষ্ঠানে একটি আদর্শ ব্যাংক নোট এবং সেন্ট্রাল ব্যাংকের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় বইটির গুরুত্ব তুলে ধরে জালাল উদ্দীন বলেন, ‘আমার ৩৫ বছরের গবেষণা ও বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা থেকে বইটি লিখেছি। বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি ব্যাংক নোটে আধুনিক ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। জাল নোট প্রতিরোধ করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। টেকসই উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়া উচিত, যা দীর্ঘকাল টিকে থাকবে।’
এ বইয়ে সেন্ট্রাল ব্যাংকের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখ করে লেখক ড. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দক্ষ হওয়া উচিত, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।’
তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি কার্যকরী সেন্ট্রাল ব্যাংক অপরিহার্য। সেন্ট্রাল ব্যাংক একটি দেশের অর্থনীতি এবং জনগণের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি আধুনিক ব্যাংক নোট ও সেন্ট্রাল ব্যাংক একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে।’
বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকিং খাতের বিশেষজ্ঞরা এ সংক্রান্ত বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করেন। তারা একটি আধুনিক ও কার্যকর ব্যাংক নোট এবং সেন্ট্রাল ব্যাংকের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এমআই