নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে এসব মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের জেরা হয়নি।
দ্বিতীয় দিনের সাক্ষীরা হলেন, রাজউকের উপপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, সহকারী পরিচালক অসীম শীল, সহকারী পরিচালক উল্লাস চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তার জাহান, দুদকের সহকারী পরিচালক ধীরাজ চন্দ্র বর্মন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম ও দুদকের সহকারী পরিচালক সৌরভ দাস।
আদালতে দুদকের প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান লিপন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাতজন পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও পুতুলের দুই মামলায় ছয়জন করে ১২ জন এবং জয়ের মামলায় পাঁচজন সাক্ষ্য দেন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ১১ আগস্ট এই তিন মামলায় প্রথম দিনে পৃথক তিন বাদী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। ওইদিন আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২০ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ আদালতে তিনটি করে মোট ছয়টি মামলা বিচারের জন্য পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে, শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তীসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়।
এমআই