নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিভিন্ন কারণে বেশ আলোচিত-সমালোচিত। এবার ত্রাণ নিতে আসা এক অসহায় বৃদ্ধকে ঘুষি মেরে ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদেরের ভাই কাদের মির্জা। শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণের সময় এক বৃদ্ধকে বুকের মধ্যে মেয়র কাদের মির্জার ঘুষি মারার ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরিব মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণের সময় ওই বৃদ্ধকে ঘুষি দেন কাদের মির্জা। বৃদ্ধকে ঘুষি মারার এক ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বৃদ্ধকে ঘুষি মারা ছাড়াও খালি হাতে তাকে ফেরত দেয়া হয়। পরে তার দিকে একটি শাড়ি ছুড়ে মারতে দেখা গেছে মেয়রকে। এছাড়াও ত্রাণ নিতে আসা একাধিক নারী-পুরুষের সাথে বাজে আচরণ করতে দেখা গেছে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে। এমন আচরণে সামাজিক মাধ্যমে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন সবুরহাটের মেয়র কাদের মির্জা।
ফেসবুকে রফিকুন বিন তাহের নামে একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, আমাদের রাষ্ট্র নায়করা কোথায়? উনারা কি এই ভিডিওক্লিপগুলো দেখেন না। মারওয়ান আলমাংকি নামে একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, জুলুমের মাত্রা বেড়ে গেলেই এমন হয়। এদের ধ্বংস অনিবার্য। খালেদ সাইফুল্যাহ নামে একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, অহংকার পতনের মূল। কথাটা সত্যে রূপান্তরিত হয়েছে, হবে।
ডা: হামিদুর রহমান নামে একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ভাই আপনার একজন ভক্ত আমি। আপনার অনেক প্রশংসা করি। কিন্তু আজ বুড়া লোকটার সাথে যে ব্যবহার করেছেন তা সারা পৃথিবীসহ সকলে দেখেছে। সবাই কিন্তু খারাপ বলছে।
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবুদল কাদের মির্জা। তিনি গত ৭ মাস ধরে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতা ও স্থানীয় নেতাদেরকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ইতিমধ্যে ঘরে বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তার একটি পরিচিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’টি গ্রুপের একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাদের মির্জা। ওই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় সময় সংঘর্ষ ও হতাহত হচ্ছে কোম্পানিগঞ্জ ও বসুরহাট এলাকায়।
সময় জার্নাল/এসএ