নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকে ঘিরে শেষ দিনে জমে উঠেছে প্রচারণা। ভিপি প্রার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের নেতারা শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছেন। অভিযোগ-আপত্তি ও উদ্বেগের মধ্যেও শিক্ষার্থীরা ব্যালটের মাধ্যমে নিজেদের মত জানাবেন বলেই আশা করছেন সবাই।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে চলে নানা প্যানেলের প্রচার-প্রচারণা। শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে প্রচারণায় এসে বলেন, আমরা ৩৬ দফা সংস্কারের ইশতেহার দিয়েছি। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ৯ তারিখে শিক্ষার্থীরা ব্যালট বিপ্লব ঘটাবেন।
তবে ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। তার অভিযোগ, শিবির সমর্থিত প্যানেলের নারী প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করা হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিছু দলের নেতারা শিক্ষার্থীদের ফোন করে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছেন, বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সাদিক কায়েম। বলেন, শুরু থেকেই একটি দলকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান।
প্রচারণার শেষ দিনে অন্য প্যানেলগুলোও মাঠে সক্রিয় ছিল। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা দুপুরে কার্জন হল এলাকায় প্রচারণা চালান। এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে বলেন, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা, কিন্তু ভোট চাইছে রাজনৈতিক নেতারা—এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে ঐতিহাসিক বটতলায় ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ২০৫ জন প্রার্থী শপথ পাঠ করেন। তারা নির্বাচিত হলে ১৮ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। শপথে ছিলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, শিক্ষার্থীদের অধিকার ও প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি।
এদিন মধুর ক্যান্টিনে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তারা ভোট উপলক্ষে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ না করা, নির্বাচনকে ঘিরে গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভোটারদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
এমআই