জাকারিয়া শেখ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিখোঁজের একদিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে আট বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি গ্রামে। নিহত শিশুর নাম মুরসালিন (৮)। সে ওই এলাকার মশিউর রহমান মুছা ও মঞ্জু দম্পতির ছোট ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুরসালিনের বড় ভাইয়ের বিয়ের আলোচনা চলছিল। এসময় প্রতিবেশী যুবক মমিনুল ইসলাম (২২) একাধিকবার শিশুটিকে ডেকে নেয়। অভিযোগ রয়েছে, কৌশলে ঘরে ডেকে মোবাইলে ভিডিও দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে বলাৎকারের পর মমিনুল শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মমিনুল পলাতক রয়েছে।
শিশুটি সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। মমিনুলের বাড়িতেও খোঁজ নিলে তার পরিবারের সদস্যরা শিশুর অবস্থান অস্বীকার করে। পরদিন শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ মমিনুলের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মুরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহ উদ্ধারের খবরে উত্তেজিত জনতা মমিনুলের বাড়ি ও তার নানার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এর আগেই ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ মমিনুলের মা মহসেনা বেগম, বোন ফাহিমা খাতুন, প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত মমিনুলসহ তার বাবা ফরিদ উদ্দিন, ভায়রা আব্দুল্লাহ ও শ্যালক মাসুম মিয়া এখনো পলাতক।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, “ঘটনার পর নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এমআই