আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সরকার বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে নেপালের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দেশ ছাড়ছেন। ইতোমধ্যেই রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি কোন দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর কেপি শর্মাকে ক্ষমতা ছাড়ার প্রস্তাব দেন দেশটির সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে দেশ থেকে নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য সহায়তা চান কেপি শর্মা।
এদিকে নেপালি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চিকিৎসার কথা বলে কেপি শর্মা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যেতে পারেন। তার জন্য হিমালয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
এরআগে মঙ্গলবার সকাল থেকে কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। ছাত্ররা তার বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় নেপালের প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর বাড়িতেও অগ্নিসংযোগের খবর আসতে থাকে। ফলে চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে হয় কেপি শর্মা ওলিকে।
অন্যদিকে, সরকারের অনান্য মন্ত্রীদেরও তাদের বাসভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিচ্ছে নেপালি সেনাবাহিনী। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা পরপরই এই পদক্ষেপ নেয় সেনাবাহিনী।
এছাড়াও সংসদ ভবন রক্ষায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সেনা ব্যারাকগুলোতে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
এমআই