রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলকুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার গামি একটি সড়কের আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুটি সেতুর আরসিসি গার্ডার ও পলেস্তারা খসে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও দেবে গেছে একটি সেতুর অর্ধেক অংশ। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে ভারী যানবাহন চলাচল। তবে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হালকা যানবাহন সহ হাজার হাজার স্থানীয় মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে প্রাণ হানি সহ বড় ধরনের দূর্ঘটন। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, শিলখুড়ি ইউনিয়নের ১৫ মিটার ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু দুটি কয়েক বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, বরাদ্দ না থাকার কারনে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি সংস্কার করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা রাফিজুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুটি দিয়ে হালকা যান চলাচল করলেই কাঁপতে থাকে। যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পরে জানমালের ক্ষতি সহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত সেতু দুটি সংস্কার করা দরকার। নইলে এই ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সহ স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী চলাচল করছে। এই সেতু দিয়েই অনেক অসুস্থ ও গর্ভবতী নারী চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ জেলা সদরের হাসপাতালে যান। সেতু দুটি ঝুঁকি পূর্ণ হওয়ায় এ ইউনিয়নের ব্যবসায়ীদের পন্য আনা নেয়া ব্যায় বেড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্হানীয়রা। দ্রুত সংস্কার করা না হলে ইউনিয়নটি আরও পিছিয়ে পরবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক বলেন, ৩০-৩৫ বছর আগে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেতু দুটির পলেস্তার খসে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। এর ফলে পুরো ইউনিয়নের মানুষ আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করছে। এতে করে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুধকুমার নদের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬টি প্যাকেজের কাজ বন্ধ রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত সেতু দুটি সংস্কারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, "ঝূকিপূর্ণ ব্রীজ দুটি নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।"
এমআই