মুহা: জিল্লুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ওএসপি, বিএসপি, এসইউপি, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মাবলম্বী মানুষ যুগ যুগ ধরে একসাথে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু স¤প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সার্বজনীন মিলনমেলার প্রতীক।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত পূজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত ভক্ত ও সাধারণ
মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন ও খোঁজ খবর নেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে। পূজার সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে কোনো ধরনের ভয়-আতঙ্ক ছাড়াই উৎসব পালন করতে পারেন, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। সীমান্ত পাহারার পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিজিবির অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমাদের সদস্যরা সবসময় মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এ সময় ধর্মীয় স¤প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরে আরো বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, এই দর্শনই আমাদের শক্তি। এই চেতনা
ধরে রেখে অন্তরর্বতীকালীন সরকারের নির্দেশনায় আমরা সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রতীর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
এর আগে তিনি শ্যামনগর উপজেলার উত্তর কৈখালী এস.আর. উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বিজিবি কর্তৃক নবনির্মিত সুপেয় পানি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার পুলিশে সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ নওফেল মাহমুদ ও সোহরাব হোসেন ভূইয়া, নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহরিয়ার রাজীব, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
পূজামন্ডপ পরিদর্শন কালে মহাপরিচালকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) পরিচালক লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হকসহ ৩৩ বিজিবির অধীনস্থ সকল ব্যাটালিয়নের কমান্ডার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এমআই