নিজস্ব প্রতিবেদক:
সৌদি আরবের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা সৌদিয়া ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা অ্যাপলের ‘শেয়ার আইটেম লোকেশন’ ফিচার বাস্তবায়ন করেছে, যার মাধ্যমে এয়ারট্যাগ বা ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক সংযুক্ত কোনো ব্যাগ হারিয়ে গেলে বা দেরি হলে তা নিরাপদভাবে খুঁজে বের করে যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে। বাংলাদেশ থেকে আগত ভ্রমণকারীরা, যারা নিয়মিত সৌদিয়ায় ভ্রমণ করেন, তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, যাত্রীরা তাদের আই ফোননাই প্যাড বা ম্যাক -এর ফাইন্ড মাই অ্যাপ ব্যবহার করে একটি নিরাপদ ‘শেয়ার আইটেম লোকেশন’ লিংক তৈরি করতে পারবেন। এই লিংকটি সৌদিয়ার একটি নির্দিষ্ট ডিজিটাল পোর্টালের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য, লোকেশন শেয়ারিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ব্যাগ উদ্ধার হওয়ার পর। যাত্রীরা চাইলে ম্যানুয়ালি যে কোনো সময় এটি বন্ধ করতে পারবেন এবং এটি সাত দিনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে।
সৌদি আরবগামী বা সৌদি আরব হয়ে ভ্রমণরত বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্য এই উন্নয়ন সাউদিয়ার ডিজিটাল উদ্ভাবনে অঙ্গীকার এবং স্মার্ট ও যাত্রীকেন্দ্রিক সমাধানের মাধ্যমে সামগ্রিক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যের প্রতিফলন।
সৌদিয়া গ্রুপের চিফ ডাটা অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার আবদুলগাদার আততিয়াহ বলেন, “ডিজিটাল রূপান্তরের প্রতি আমাদের চলমান প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে অতিথিদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করছি। অ্যাপলের ‘শেয়ার আইটেম লোকেশন’ ফিচার সংযুক্ত করার মাধ্যমে আমরা বিশ্বমানের সেবা প্রদানে আমাদের অঙ্গীকার এবং এভিয়েশন খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করার প্রচেষ্টা তুলে ধরছি।”
‘শেয়ার আইটেম লোকেশন’ ফিচারটি অ্যাপলের ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা এক বিলিয়নেরও বেশি অ্যাপল ডিভাইসের সমন্বয়ে গঠিত একটি ক্রাউডসোর্সড নেটওয়ার্ক। এটি ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে আশেপাশে হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস বা জিনিস শনাক্ত করে মালিককে তার আনুমানিক অবস্থান জানায়। পুরো প্রক্রিয়াটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ও সম্পূর্ণ গোপনীয়, ফলে অ্যাপল কিংবা ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক এক্সেসরির নির্মাতারাও আইটেমের অবস্থান বা তথ্য দেখতে পারে না।
যাত্রীরা এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন, যদি তাদের অ্যাপল ডিভাইস আই ও এস ১৮., আই প্যাড ও এস ১৮.২ বা ম্যাক অ এস ১৫.২ কিংবা এর পরবর্তী ভার্সনে আপডেট করা থাকে।
এমআই