নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বুধবার (১ অক্টোবর) আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় এই তথ্য জানায় সরকারি সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের এক বার্তায় বলা হয়েছে, সাগরে লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী পাঁচ দিন সারাদেশের অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমবে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও ভৎসংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি ঘনীভূত হয়ে বুধবার সকালে সুস্পষ্ট লঘুচাপ রূপে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরো ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপ হিসেবে রূপ নিতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় সর্বোচ্চ ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়েছে সৈয়দপুরে ৩৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার।
এমআই