তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা একাডেমিক ভবনে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি শুরু হয়। তবে পরীক্ষা শেষে প্রার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
জানা যায়, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক পদে ৪৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। সকাল ১০ টার দিকে শুরু হয়ে এক ঘণ্টা ব্যাপী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশ্ন রাখা হয়। পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেন নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। বিকাল ৩টায় লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ শেষে উপাচার্যের বাসভবনে নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে প্রার্থীদের কেউ কেউ পরীক্ষার প্রশ্নের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও কয়েকজন প্রার্থী প্রশ্ন ও পরীক্ষার পূর্বঘোষণার সময় স্বল্পতা নিয়ে অসন্তোষ জানান।
পরীক্ষা শেষে এক প্রার্থী বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। প্রশ্নের মান স্ট্যান্ডার্ড ছিল। পরীক্ষার হলে তেমন কোন অসংগতি লক্ষ্য করিনি। স্বচ্ছতার সাথেই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমি আশাবাদী।
অন্য এক প্রার্থী বলেন, প্রশ্ন বেশ কঠিন হয়েছে তবে আমরা আগে দেখতাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ মার্ক সাবজেক্টিভ ও ২০ মার্ক বাংলাদেশ স্ট্যাডিস থাকতো। তো এবার আমরা দেখছি যে ৫০ মার্কই সাবজেক্টিভ। এখানে বাংলাদেশ স্ট্যাডিস বা এই ধরনের কোন প্রশ্ন হয়নি। তবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি, সেখানে পূর্বের মতো পরীক্ষা হয়েছে।
পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট অভিযোগ জানিয়ে এক প্রার্থী বলেন, একদিন আগে আমাকে জানানো হয়েছে। আসার ক্ষেত্রেও প্রস্তুতির একটা বিষয় থাকে। চাকরিজীবীদের অফিস থেকে ছুটি নিতে হয়। পরীক্ষার আগে অন্তত এক সপ্তাহ আগে জানালে আমাদের জন্য ভালো হতো। তাছাড়া দেখা যায় অনেকে বাইরে থাকে, ব্যস্ত থাকতে পারে। এই বিষয়টা একটু সমস্যা হয়েছে। কি জন্য এমন হয়েছে প্রশাসন ভালো জানে ৷ তবে আমার মনে হয় এখানে কোনো বিষয় আছে।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, “বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নীতিমালা লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা এবং অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট। আমরা এই তিনটির সমন্বয়ে সর্বোচ্চ মেধায় যে আসবে তাকে আমরা সিলেক্ট করবো। এখানে মেধা এবং যোগ্যতা এই হবে মাপকাঠি; কোনো ধরনের রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না।”
এমআই