মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মিলি আত্নহত্যা করেছে দাবি পরিবারের, পুলিশের মামলা দায়ের

মঙ্গলবার, জুলাই ২০, ২০২১
মিলি আত্নহত্যা করেছে দাবি পরিবারের, পুলিশের মামলা দায়ের

জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের গৃহিণী মিলির মৃত্যু ঘটনায় রহস্যের জট যেনো খুলছেই না। মিলি মানুষিক ভারসাম্যহীন ছিলেন দাবি করে ঘটনাটিকে আত্নহত্যা বলছে পরিবার।

সোমবার(১৯ জুলাই) কিছু প্রশ্নের জবাবে এই দাবি তুলে ধরেন মৃত মিলি চক্রবর্তীর বড় মেয়ে তিথি রায়। অপরদিকে গত ১০ জুলাই ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নির্মল কুমার রায় বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবুও আত্নহত্যার যুক্তিতে অনড় মৃত মিলি চক্রবর্তীর পরিবার।

মামলায় বলা হয়, গৃহবধু সান্তনা রায় ওরফে মিলি কে বা কাহারা হত্যা করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার মরদেহ তাঁতিপাড়াস্থ বাটা শোরুম এবং নির্মাণাধীন ভবনের মাঝে সরু গলিতে ফেলে রাখে এবং প্রাথমিকভাবে এমন তথ্য পাওয়ার পর মৃতের আত্মীয় স্বজনদেরকে অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তারা অভিযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। 

পরিবারের কেউ মামলা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত মিলি চক্রবর্তীর মেয়ে তিথি রায় বলেন, আমরা জানি মা আত্নহত্যা করেছে। এমনকি মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুটে আত্নহত্যার বিষয়টি বলে গেছেন। তিনি মানুষিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। অনেক সময় তার উদ্ভট আচরণ দেখা যেতো। তার এমন আচরণে কয়েকবার বিভ্রান্তির স্বীকার হয়েছে আমার পরিবার। তাছাড়া আমার মা একজন সাইক্লোজিষ্টের চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিনি বলেন, জেনেশুনে কোন বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে চাইনি। তাই এই বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি আমার পরিবার। তবে কেনো পুলিশ হত্যা মামলা দায়ের করলো তা ঠিক বুঝতে পারছি না।

মামলার বাদী সদর থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) নির্মল কুমার রায় বলেন, গৃহবধু সান্তনা রায় ওরফে মিলি চক্রবর্তীর লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। মনে হয়েছে কে বা কাহারা তাকে হত্যা করেছে এবং ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশ ঐ দুই বিপণিবিতানের মাঝখানের সরু গলিতে ফেলে রেখেছে। তাই সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্যই মামলাটি করেছি। 

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধু সান্তনা রায় ওরফে মিলি চক্রবর্তীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে আমরা কাজ করছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনও আমরা পাইনি, সেটি পেলে অনেকগুলো বিষয় পরিস্কার হয়ে যাবে। আশা করি খুব অল্পসমের মধ্যে মিলির মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হবে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে জানানো হয় ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁও শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কের দুইটি বিপণিবিতানের মাঝের ফাঁকা সরু গলিতে এক গৃহবধুর লাশ পরে রয়েছে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাত ঘটনাস্থলে এসে এক গৃহবধুর লাশ সেখান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গৃহবধুর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে চঞ্চলতা শুরু হয়।

সময় জার্নাল/এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল