মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা শহর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে আসছেন। বিভাগ ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ মিছিল সহ রাস্তা ব্লকেড কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন নোয়াখালীর সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১ ঘটিকার সময় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকদের আয়োজনে উপজেলার বসুরহাট বাজারে ৩০ টি সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র জনতা এবং সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও পরে বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্ট রাস্তা ব্লকেড করে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
কর্মসূচিতে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা এহসানুল আলম খসরুর সভাপতিত্বে ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি করিমুল হক সাথীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমীর ও নোয়াখালী ৫ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, জামায়াতে ইসলামীর বসুরহাট পৌরসভা আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ সাদী ভূঁইয়া, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আমির হোসেন বিএসসি প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা করা না হলে কয়েকদিনের মধ্যে হরতালের মত কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে এই জেলার মানুষ, এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে যেনো নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা করা হয়। যদি এর আগে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা না করা হয় তাহলে জাতীয় নির্বাচনকেও ঠেকিয়ে দেওয়া হবে, শুধু তাই নয় সারাদেশ অচল করে দেওয়ার ঘোষণাও দেন বিক্ষুব্ধ নোয়াখালীবাসী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন তিনি থাকাকালীন সময়ে এই জেলাকে বিভাগ ঘোষণা করে একটি দৃষ্টান্তমূলক স্থাপন করে যায়, তার নাম নোয়াখালীর মানুষ স্বর্ণাক্ষরে স্মরণ রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন জেলাবাসী।
এমআই