আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস রাজনৈতিক ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এবং যুদ্ধপরবর্তী গাজার শাসনব্যবস্থা ফিলিস্তিনের ঐক্য সরকারের হাতে ছেড়ে দিতে রাজি। তবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন না হওয়া পর্যন্ত তারা নিরস্ত্র হবে না।
এনবিসি নিউজকে একথা জানিয়েছেন হামাসের ঊর্ধ্বতন এক রাজনৈতিক কর্মকর্তা বাসেম নাইম। তিনি বলেন, “আমরা আজ (গাজা) শাসনক্ষমতা থেকে সরে যেতে এবং গাজার শানপরিচালনা একটি বোর্ড, সরকার বা কমিটির হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত।”
ওদিকে হামাসের মুখপাত্র লতিফ আর কানোয়া আরব নিউজকে বলেছেন, গাজা প্রশাসন দেখভাল করার জন্য একটি কমিটি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবে হামাসের আপত্তি নেই।
গাজায় গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হামাসের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য এল। দলটি স্পষ্ট করেই জানিয়েছে যে, তাদের কাছে গাজার শাসন এখন বন্ধ অধ্যায়। গাজার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের সময়ে কোনও পর্যায়েই তারা অংশ নেবে না। এর মানে তারা গাজায় নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেবে। তবে ফিলিস্তিনি সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে থাকবে হামাস।
এর আগে হামাসের নেতারা যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসন-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিভক্ত ছিল। কিন্তু এখন হামাসের শীর্ষ সদস্যরা নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে বিভক্ত বলেই মনে হচ্ছে।
এক সূত্রের বরাত দিয়ে আরব নিউজ জানিয়েছে, হামাস ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে গাজার শাসনক্ষমতা তাদের কাছে হস্তান্তরে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে। তবে একটি শর্তে।
তা হচ্ছে, হামাসের কর্মচারিরা, যারা ২০০৭ সালে হামাসের গাজা দখলের পর নিয়োগ পেয়েছিল তাদেরকে আবার স্বপদে বহাল করতে হবে এবং তাদের মজুরি ও অধিকারও সুরক্ষিত রাখতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হামাস কর্মকর্তা বলেন, কর্মচারিদের পুনর্বহাল করার এই বিষয়টি চূড়ান্ত চুক্তির পথে প্রধান বাধা হয়ে আছে।
হামাস বলেছে, তাদের ৪০ হাজার কর্মচারি গাজার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান যেমন: স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং নিরাপত্তা বিভাগে কাজ করে।
এই কর্মচারিদেরকেই গাজার নতুন প্রশাসনে বৈষম্যবিহীনভাবে সামিল করে নেওয়ারই দাবি জানাচ্ছে তারা।
তাদের বেতন অব্যাহত রাখার আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ কিংবা আঞ্চলিক মধ্যস্তাকারীদেরকে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে হামাস।
এমআই