নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর Cinnamon Life হোটেলে এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক যুব পরিষদ (South-East Asia Regional Youth Council, SEAR YC) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তরুণ মেডিকেল শিক্ষার্থী শরীফ মোহাম্মদ সাদাত, যিনি বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনস (IFMSA)-এর এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের (SEARO) এই উদ্যোগের লক্ষ্য তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি, অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনকে স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা।
৬৪টি আবেদন পর্যালোচনার পর বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তিমুর-লেস্তে এবং IFMSA-এর মতো ৯টি সংগঠনকে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই পরিষদে সাদাত একমাত্র মেডিকেল শিক্ষার্থী, যিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমস্ত চিকিৎসা শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করছেন।
৭৮তম WHO South-East Asia Regional Committee বৈঠকের প্রাক্কালে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পারিবারিক স্বাস্থ্য ব্যুরোর পরিচালক ড. চান্দিমা সিরিতুঙ্গা, স্বাস্থ্যসেবা মহাপরিচালক ড. আসেলা গুনাওয়ার্ডেনা এবং WHO SEARO-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ক্যাথারিনা বোহমে। সমাপনী বক্তব্য দেন ড. চিরন্থিকা বিতানা, শ্রীলঙ্কার কিশোর ও যুব স্বাস্থ্য কর্মসূচির জাতীয় ব্যবস্থাপক।
নিজের বক্তব্যে সাদাত বলেন, “আজকের এই উদ্বোধন কোনো সমাপ্তি নয়, এটি এক নতুন শুরু। আগামী দুই বছরে আমরা এমন এক ভবিষ্যতের পথে হাঁটব, যেখানে তরুণদের চিন্তা, নেতৃত্ব ও উদ্ভাবন স্বাস্থ্যনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসেবে আমি গর্বিত যে আমাদের প্রজন্মের কণ্ঠ আজ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নেতৃত্বে প্রতিফলিত হচ্ছে।”
এই যুব পরিষদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তরুণদের জন্য একটি নতুন মঞ্চ তৈরি করেছে, যেখানে তারা স্বাস্থ্যসেবা, নীতি ও নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই কাউন্সিল WHO SEARO ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বে যুবসম্পৃক্ত নীতি, গবেষণা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে অবদান রাখবে।
সাদাতের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বাংলাদেশের তরুণ চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনার প্রতীক। এটি প্রমাণ করে যে নিষ্ঠা ও উদ্যম থাকলে একজন শিক্ষার্থীর কণ্ঠও পৌঁছাতে পারে বিশ্ব মঞ্চে।