মোঃ রানা ইসলাম, শেকৃবি প্রতিনিধি:
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফের নাম তার অনুমতি ছাড়াই একটি গবেষণাপত্রে সহ-লেখক হিসেবে ব্যবহার করায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আলোচিত ওই প্রবন্ধের প্রধান লেখক ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম)-এর গবেষক ড. মোহাম্মদ শরওয়ার।
২০১৭ সালে প্রকাশিত “Diversities of mosquito species of different locations in Dhaka city” শীর্ষক প্রবন্ধটি ‘Progressive Agriculture’ জার্নালে ছাপা হয়। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার অভিযোগ করেন, উক্ত প্রবন্ধটি ২০১৪ সালে প্রকাশিত তার একটি গবেষণার সঙ্গে প্রায় সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মেধাস্বত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই গবেষণাপত্রে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফের নাম সহ-লেখক হিসেবে যুক্ত করার বিষয়ে তার কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি প্রবন্ধ প্রকাশের আগে জার্নাল কর্তৃপক্ষও উপাচার্যের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করেনি।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, “২০১৭ সালে আমার তত্ত্বাবধানে পিএইচডি করা একজন শিক্ষার্থী আমার অজান্তেই আমার নাম ব্যবহার করে প্রবন্ধটি প্রকাশ করে। জার্নালও কোনো নিশ্চয়তা ছাড়াই আমার নাম যুক্ত করে প্রবন্ধটি ছাপে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আমি তা জানতে পারি এবং ড. শরওয়ার আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।”
অন্যদিকে, ড. মোহাম্মদ শরওয়ার প্রথমে জানান যে, তিনি বিষয়টি দেখেননি এবং পরে জানাবেন। কিন্তু পরবর্তীতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গবেষণাপত্রটি প্রকাশের সময়, অর্থাৎ ২০১৭ সালে শেকৃবির পিএইচডি পাঠ্যক্রমে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ বাধ্যতামূলক ছিল না। ড. শরওয়ার তার পিএইচডি সম্পন্নের পর নিজ উদ্যোগে প্রবন্ধটি প্রকাশ করেন।
এমআই