মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি :
সদর উপেজলা শিল্পনগরী পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান রেখেছে দিনাজপুর সড়ক বিভাগ। মঙ্গলবার এই উচ্ছেদ অভিযান সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।
সোমবার (৩ নভেম্বর ২০২৫) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিন মাসিমপুর ও এর আশপাশে এলাকাডয় এই অভিযান পরিচালনা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সচিব এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চেীধুরী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারী জয়গা অবৈধভাবে দখল করে পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে কয়েক শতাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি গড়ে ওঠে। এতে সড়কটি সরু হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেও কয়েক দফা সতর্ক করা হলেও দখলদাররা স্থান খালি করেননি। ফলে প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
অভিযান চলাকালীন সওজ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, জনস্বার্থে এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কর্মকর্তারা সবাইকে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত রাখতে ও উন্নয়ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
দিনাজপুরে এই উচ্ছেদ অভিযানে একদিকে যেমন সড়ক প্রশস্তকরণের উদ্যোগে সাধারণ মানুষ আশাবাদী, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে মানবিক সহায়তার প্রত্যাশাও করেছেন।
মাসিমপুর এলাকার মুদি দোকানী, আশরাফ আলী, আব্দুস সাত্তার, মাসুদ, তুহিনসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমরা দীর্ঘ ২০ বছরের বেশী সময় ধরে এখানে দোকান করে আসছি। এনজিও খেকে ঋণ নিয়ে বছর খানিক আগে দোকান মেরামত করে নতুন করে তুলেছিলাম, এখন সব ভেঙে গেল। কীভাবে ঋণ শোধ করব জানি না।
কুরবান আলী ও আব্দুল খালেক নামে দুইজন ফল বিক্রেতা জানান, এই দোকান দিয়ে আমরা আমাদের সংসারের খরচ চালাই। কিন্তু এখন দোকান নেই, আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কিভাবে চলবো, কি করব বুঝ উঠতে পারছি না।
আনোয়ার হোসেন নামে আরেক ব্যসায়ী বলেন, রাস্তা বড় হওয়া দরকার, এতে সবারই সুবিধা হবে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগও নেওয়া উচিত। তাদের জন্য বিকল্প জায়গা না দিলে অনেক পরিবারকে পথে বসতে হবে। তাই তিনিনে ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
দিনাজপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, দিনাজপুর পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকায় সড়কের ৮৫ ফিট প্রশস্ত অংশের ভেতরে থাকা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ১৯৪২ সালে অধিগ্রহণ করা সরকারি জায়গা দখলমুক্ত রাখতেই এই অভিযান। তিনি বলেন, দখলমুক্ত হওয়া জায়গায় সড়ক প্রশস্তকরণ, ড্রেনেজব্যবস্থা ও জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
একে