মোঃ রানা ইসলাম, শেকৃবি প্রতিনিধি :
গবেষণায় আগ্রহ ও সক্ষমতা থাকলেও বাজেট স্বল্পতার কারণে বৃহৎ পরিসরে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। গবেষণায় মানসম্মত যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ধারাবাহিক অগ্রগতি রক্ষায় অর্থের অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(শেকৃবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. মহবুবুজ্জামান ভবনের এএসভিএম অনুষদের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত “সামুদ্রিক মাছ থেকে উচ্চমানের সুরিমি তৈরি, সুরিমিতে ভ্যালু অ্যাডেড ও সুরিমি ফিশ প্রোডাক্ট উন্নয়ন” শীর্ষক সাব-প্রকল্পের ক্লোজিং কর্মশালায় তারা এসব কথা বলেন।
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেলাল হোসেন বলেন, “রিসার্চের জন্য সরকারি বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ অপারেশনাল কাজে ও ২৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ ক্রয়ে ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এ সীমিত বাজেটে মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি কেনা সম্ভব নয়। ফলে গবেষণায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসছে না।”
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “আমরা কোনো ধরনের পক্ষপাত না করে কাজের গুরুত্ব বুঝে গবেষণার দায়িত্ব বণ্টন করি। কিন্তু বাজেট সীমিত—প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাই, যার প্রায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। ফলে গবেষণার পরিসর বড় করা যায় না।”
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ। গেস্ট অব অনার ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কাজি আহসান হাবিব ও সাউরেস (SAURES) পরিচালক প্রফেসর ড. এফ. এম. আমিনুজ্জামান।
গবেষণা সাব-প্রকল্পের প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন ফিশিং অ্যান্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মহিবুল্লাহ। তিনি বলেন, “সময় ও বাজেটের সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা নির্ধারিত কাজগুলো সম্পন্ন করেছি। এই গবেষণা ভবিষ্যতেও ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে চাই।”
মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেন, “চারজন নবীন বিজ্ঞানী এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের থিসিস সম্পন্ন করেছে। এটি গবেষণাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে গবেষণার বিকল্প নেই।”
এমআই