বাগেরহাট প্রতিনিধি:
সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের পৃথক অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ এক ডাকাত ও এক অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের পশ্চিম জোনের সদর দপ্তরের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে কোস্ট গার্ড সদস্যরা কৈখালীর ভেটখালী এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানকারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে বনের ভিতরে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে ১টি একনালা বন্দুকসহ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, মানব পাচারকারী এবং ভারত থেকে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানকারী মামুন কয়াল কে আটক করা হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর, তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কৈখালীর বয়াসিং সংলগ্ন একটি খালের পাশে পুতে রাখা ১ টি বিদেশী ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ওয়ান শুটার গান এবং ৮ রাউন্ড তাঁজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদক এবং আটককৃত ব্যক্তি বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
অপরদিকে, আরেকটি অভিযানে গত শনিবার মধ্যরাত ২টায় কোস্ট গার্ড সদস্যরা সুন্দরবনের খাশিটানা খাল সংলগ্ন মুরুলি খাল ও ছেড়াখাল এলাকায় দুলাভাই বাহিনীর আস্তানায় অভিযান চালায়। সে সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত দুলাভাই বাহিনী অভিযানকারীদের বোট লক্ষ্য করে ভারী গুলি বর্ষণ করলে আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এরপর ডাকাত সদস্যরা রাতের অন্ধকারে বনের ভেতর পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সূত্র ধরে, দুলাভাই বাহিনীর সদস্য ডাকাত মোঃ সোলায়মান (৫০) কে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে ফের মঙ্গলবার ভোর ৪টায় কোস্ট গার্ড অভিযান চালায়। অভিযানে কোস্ট গার্ড ১টি একনালা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাঁজা গোলা, ২৬রাউন্ড ফাঁকা গুলি, ৪৪টি চকলেট বোমা, ৩০টি মোবাইল, ১টি বাইনোকুলার, ১টি ওয়াকি টকি, ৪ টি দেশীয় অস্ত্র ও ২০ গ্রাম গাঁজাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরণসমূহ জব্দ করা হয়। আটককৃত ডাকাত সোলায়মান খুলনা জেলার কয়রা থানার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ দুলাভাই বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো। জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং অন্যান্য আলামতসহ ও আটককৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
এমআই