শেকৃবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র পর ভুমিকম্প সচেতনতার জন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও ১২ দিনের জন্য ২৪ নভেম্বর হতে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা সোস্যাল মিডিয়া ও সরাসরি প্রশাসনি বডির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে।
আজ (রোববার, ২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সঙ্গে আগামীকাল (সোমবার, ২৪ নভেম্বর) বিকাল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিক্ষার্থীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এশার নামাজ শেষে উপাচার্য, উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছে গিয়ে ক্লাস পরীক্ষা ও হল চালু রাখার অনুরোধ জানালে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন, এটা শুধু আমরা বন্ধ দিয়েছি এমন না। ঢাবি জবিও বন্ধ দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান মতে আগামী ২ সপ্তাহ পূনরায় বড় ভুমিকম্পের আশংকা রয়েছে। আমরা তোমাদের ভালো চাই। এজন্য আমরা রিস্ক নিতে পারবো না। বেঁচে থাকলে সব করা যাবে। তবে শেষে উপাচার্য অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করার বিষয় দেখবে বলে জানান।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের টিউশন, চাকরির পরীক্ষা, লেবেল-৪ এর শিক্ষার্থীদের সামনের চাকরির সার্কুলার ধরতে ক্লাস ও হল না ছাড়তে অনড়। শিক্ষার্থীরা বলেন, ভুমিকম্প একটা প্রাকৃতিক বিষয়। সামনের পনের দিন পর ভুমিকম্প হবে না সেটা কি প্রশাসন নিশ্চিত ভাবে বলতে পারে। আমরা কোনো ভাবেই এ সিদ্ধান্ত মানি না হলো ছাড়বো না।
রাজধানীতে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে ঝুকি এড়াতে শেকৃবিতেও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় হয়।
একে