ডিআইইউ প্রতিবেদক:
রিখটার স্কেলে ৮ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে কিছুই করার মতো পরিস্থিতি থাকে না। তারপরও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, আতঙ্কিত হওয়া যাবে না—এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা এখন একটি দুর্যোগময় সময় পার করছি। ভয় ও উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। দালাই লামাকে যখন চীনা বাহিনী পোটালা প্যালেস থেকে বের করে দিচ্ছিল, তখনও তিনি হাসিমুখে ছিলেন।”
তিনি বলেন, তার বন্ধু যখন জানতে চাইলেন ‘এত কিছু হচ্ছে, তোমাকে গুলি করতে পারে কিংবা হত্যা করতে পারে, তবুও তুমি হাসছ কেন?’—দালাই লামা উত্তরে বলেন,
“দুশ্চিন্তা করে যদি সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে দুশ্চিন্তা করে লাভ কী? আর যদি সমস্যা নিজেই ছোট হয়ে যায়, তবে দুশ্চিন্তা করেও তো কিছুই বদলাবে না।”
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ভূমিকম্পও ঠিক তেমনই একটি পরিস্থিতি। রিখটার স্কেলে আট–নয় মাত্রার কিছু হলে কারও হাতে কিছুই থাকবে না। তারপরও আমাদের সেন্স ব্যবহার করতে হবে। আতঙ্কিত হওয়া যাবে না, দৌড়াদৌড়ি করা যাবে না। “যেখানে থাকবেন, পিলারের পাশে দাঁড়াবেন। মাথায় বালিশ নেবেন। টর্চলাইট, মোমবাতি ও প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে রাখবেন।”
তিনি আরও বলেন, “বেসিক প্রিকশন—অর্থাৎ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেই অনেক সমস্যা এড়ানো সম্ভব।”
নিরাপত্তা সচেতনতা এবং পরিকল্পনার গুরুত্ব নিয়ে
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, শুধু দুর্যোগকালে নয়, দৈনন্দিন জীবনেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, ভূমিকম্পের আগে ও পরে দ্রুত প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি, জরুরি যোগাযোগের ব্যবস্থা, এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সামগ্রী রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করান, এটি শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবার ও সম্প্রদায়ের জন্যও জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করে।
একে