ইবতেশাম রহমান সায়নাভ, বেরোবি প্রতিনিধি :
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শাস্তিপ্রাপ্তরা হলেন— মামুন মিয়া ও রাফি আহমেদ, যাদের দুই শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে, এবং আজিজুল হাকিম, যাকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া র্যাগিংয়ের অভিযোগে আরও নয়জন শিক্ষার্থীকে অভিভাবকসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ সময় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী দীন ইসলাম মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। কানের পর্দা ফেটে যাওয়ায় তাকে সহপাঠীরা সাংবাদিকদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক বিজয়–২৪ হলের সহকারী প্রভোস্ট ড. এটিএম জিন্নাতুল বাসার; সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ এবং আরেক সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. ফায়সাল–ই–আলম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১২টার দিকে বাংলা বিভাগের ২৩–২৪ সেশনের (১৬ ব্যাচ) কয়েকজন শিক্ষার্থী একই বিভাগের ২৪–২৫ সেশনের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের হলের ছাদে ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মামুন, ১৭ ব্যাচের দীন ইসলামকে মারধর করেন। এতে দীনের অবস্থা গুরুতর হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা র্যাগিংয়ের বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী বলেন,
“গত ২৩ নভেম্বরে বিজয়–২৪ হলের ছাদে যে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে তা পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত এবং তীব্র নিন্দা জানাই।
মহামান্য হাইকোর্ট ও ইউজিসির নির্দেশনার আলোকে র্যাগিংবিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সজ্জিত রয়েছে। র্যাগিং এ যৌন হয়রানির বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।
ঘটনার পরপরই ২৪ ঘণ্টার নোটিশে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আজ সকাল ১১টায় শৃঙ্খলা কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। সকলের সর্বসম্মতিক্রমে আজকের এই শাস্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
এমআই