বুধবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিষ্ঠার চার বছর উদযাপন করেছে বজলুর রহমান পাঠাগার। বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের এফ আর আদর্শ বিদ্যাকানন প্রাঙ্গণে গান, আবৃত্তি ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়।
মহান বিজয়ের মাস এবং পাঠাগারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় 'রঙ-তুলিতে বাংলাদেশ' শিরোনামে দলীয় চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। পাঠাগারের শিক্ষার্থীদের আঁকা ৫০টি চিত্রকর্ম স্থান পায় এই প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীর কিউরেটর চিত্রশিল্পী শাহনাজ জাহান বলেন, "আমরা গত নভেম্বর মাসে পাঠাগারের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি আর্ট ক্যাম্প আয়োজন করেছিলাম। সেখানে শিক্ষার্থীরা ছবি এঁকেছে। এর মধ্য থেকে বাছাই করা ৫০টি ছবি নিয়ে এই প্রদর্শনী করেছি।"
"পাঠাগারের বর্ষপূর্তি এবং মহান বিজয়ের মাসকে ঘিরে আমাদের প্রতিপাদ্য ছিল- 'রঙ-তুলিতে বাংলাদেশ'। শিক্ষার্থীরা চিত্রে তুলে ধরেছে বাংলাদেশের প্রকৃতি, জনজীবন, সম্প্রীতির বার্তা।"
বিকেল ৪টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিক্ষানুরাগী ও সমাজচিন্তক বজলুর রহমান। তিনি বলেন, "আমাদের গ্রাম যে শান্ত-স্নিগ্ধ ছিল, তা এখন আর নেই। গ্রামকে শহর বানানোর নামে অপরিকল্পিত উন্নয়নের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মানবিক গুণের উন্নয়ন না করে ইট-পাথরের যত উন্নয়নই হোক, তা টেকসই হবে না। এজন্য গ্রামের মানুষকে নিয়ে ভাবতে হবে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা যেন সৃজনশীল চিন্তায় বেড়ে উঠতে পারে, তার জন্যই পাঠাগার।"
সভাপতির বক্তব্যে নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার বলেন, "গ্রামের ছেলেমেয়েরা যেন শুদ্ধচিন্তায় বেড়ে ওঠে, সে লক্ষ্যেই বজলুর রহমান পাঠাগার কাজ করে চলেছে এখানে শিশুরা, বই পড়ার পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকা, গানের চর্চাও করছে।"
আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কিন্ডারগার্ডেন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শামীম সরকার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মজলিশপুর ইউনিয়নের সভাপতি আয়েত আলী মেম্বার, সাংবাদিক জাকির হোসেন জিকু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পাঠাগারের সমন্বয়ক তানহা।
অনুষ্ঠানে পাঠাগারের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে দলীয় আবৃত্তি। একক কণ্ঠে গান পরিবেশন করেন জয়া রানী শীল। এফ আর আদর্শ বিদ্যাকাননের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামে যাত্রা শুরু করে বজলুর রহমান পাঠাগার।
এমআই