নিজস্ব প্রতিবেদক। সময় জার্নাল: করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণরোধে সরকারের দেওয়া ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষিধের ষষ্ঠ দিন ছিল বুধবার। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন সড়কে মানুষ বেড়েছেছি। বেড়েছেছিল রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা। সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে অকারণে বাইরে বের হওয়ায় আজ বুধবার রাজধানীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৬২ জনকে।
বিধিনিষেধ শুরুর দিন থেকে বুধবার পর্যন্ত ছয় দিনে অকারণে বাইরে বের হওয়ার জন্য মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন হাজার ৫৬ জনকে। এ ছাড়া ছয় দিনে অকারণে বাইরে বের হওয়ায় ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার ৪২৫ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাফিক বিভাগ।
কঠোর বিধিনিষেধের শুরু থেকে ডিএমপির পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র দেখা গেছে। এদিকে বুধবার ডিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো তথ্যমতে, কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া কিংবা বিভিন্ন নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগে ৫৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০৮ জনকে এক লাখ ৬১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে, ষষ্ঠ দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৪৮৯টি যানবাহনকে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
বুধবার সারাদিন অযাচিত ঘোরাঘুরির কারণে ডিএমপির আটটি বিভাগ সড়কের বিভিন্ন স্থানে স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এই গ্রেপ্তার ও জরিমানা করেছে বলে রাতে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ডিএমপির জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনারোধে পুলিশ মাঠে তৎপর। ফলে অযাচিত ঘোরাফেরা করলে দেওয়া হচ্ছে মামলা, করা হচ্ছে জরিমানা। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এ বিধিনিষেধ ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বুধবার ছিল সেই বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিন। এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, আগারগাঁও, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ টহল দিচ্ছে। তারা চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি থামিয়ে বাইরে আসার কারণ জানতে চাইছে। তবে কোথাও কোথাও পুলিশের ঢিলেঢালা টহল দেখা গেছে। মানুষকেও কোনো রকম বাধা ছাড়াই চলাচল করতে দেখা গেছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ডিএমপি পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমও অব্যাহত আছে। এ ছাড়া পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছেন।
বিধিনিষেধ শুরুর পর অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবারের পর রাস্তায় লোকজনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। বাড়তে থাকে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই নানা ধরনের পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে।
সময় জার্নাল/আরইউ