হাবিপ্রবি প্রতিনিধি, পাবনা সংবাদদাতা :
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিলেন যশোর মেডিকেল কলেজে সদ্য চান্স প্রাপ্ত শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ।
জুবায়ের পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের গোপালপুর তাঁতীপাড়া গ্রামের ফরিদ আহমেদ ও কামরুন্নাহার দম্পতির প্রথম সন্তান। অধ্যবসায়, ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি আজ এ সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন।
তার এই অর্জনে আনন্দে ভাসছে পরিবার-পরিজনসহ পুরো গ্রাম। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, জুবায়ের ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত ছিল। গোপালপুর গ্রাম থেকে এর আগে কেউ মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পায়নি। একজন চিকিৎসকের অভাব দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর মনে এক গভীর স্বপ্ন হিসেবে বিরাজ করছিল। জুবায়েরের সাফল্যের মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্নের প্রথম বাস্তব রূপ মিলেছে।
গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোবারক সরকার নাহিদ বলেন, “ধৈর্য, নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জুবায়ের। আমরা বিশ্বাস করতাম সে মেডিকেলে চান্স পাবে, আজ সেই বিশ্বাস সত্যে পরিণত হয়েছে।”
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জুবায়ের বলেন, “গোপালপুরের মানুষজন আমাকে নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী ছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। সারাজীবন গ্রামবাসীর ভালোবাসা ও দোয়া চাই।”
জুবায়ের এডওয়ার্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১১৯০ নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। তার পিতা ফরিদ আহমেদ শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং মাতা কামরুন্নাহার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
জুবায়েরের এই সাফল্য শুধু তার পরিবারের নয়, বরং পুরো গ্রামের গর্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এমআই