তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরীফ ওসমান হাদি ও দীপু চন্দ্র দাশ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পূজা উদযাপন পরিষদ।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সমবেত হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন করে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায়সহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মিছিলে তাদেরকে ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘ওসমান ভাইয়ের স্মরণে, ভয় করিনা মরণে’, ‘দিপু ভাইয়ের স্মরণে ভয় করিনা মরণে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দিপু দাদা শ্মশানে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘ওসমান ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে পংকজ রায় বলেন, হাদি, দিপু এবং আয়েশা— এই তিনটা হত্যাকাণ্ডই ন্যক্কারজনক। আইন নিজের কাছে তুলে নেওয়া এই ধরনের অপরাধ। বাংলাদেশে আমরা ৫ আগস্টের পরে এগুলো আশা করি না। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটা সুশীল সমাজ, এমন একটা দেশ, যেই দেশে প্রত্যেক জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে বসবাস করবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে মনে হচ্ছে যে আমরা অনেকটাই ব্যর্থ হয়ে পড়ছি। এটার জন্য কে দায়ী? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি অন্য কিছু শক্তি। আমার মনে হচ্ছে হাদি এবং দিপু এর মধ্যে কিছু একটা সংযোগ আছে, সেই সংযোগটা বের করেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট রোডে শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গত বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান।
এদিকে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার কর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে কারখানা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
এমআই