মো বাঁধন হোসেন, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড়দিন) ও শীতকালীন ছুটি উপলক্ষে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শুরু হয়েছে দীর্ঘ ১৫ দিনের অবকাশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ০৮ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ১০ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে হলসমূহ পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।
ছুটি ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসে দেখা গেছে বাড়ি ফেরার ব্যস্ততা। কেউ ব্যাগ গুছাচ্ছেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের আড্ডায় মেতেছেন। শীতের কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়ার মাঝে ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে আসছে ব্যস্ত ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই শীতকালীন ছুটি তাদের কাছে শুধু বিশ্রামের নয়, বরং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর এক বিশেষ সুযোগ।শীত মানেই পরিবার, ঘরের খাবার আর শান্ত সন্ধ্যা। এই ছুটি আমাদের জন্যও খুব প্রয়োজনীয়।”
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী অনিক বলেন, “সারা সেমিস্টারের চাপের পর বাসায় গিয়ে মায়ের হাতের পিঠা খাওয়া, ভোরে খেজুর রস আনা—এই আনন্দটাই সবচেয়ে বেশি।”
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী কাইয়ুম জানান, “শীতের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলা, আগুন পোহানো আর আড্ডা—এই সময়গুলোই আমাদের মানসিকভাবে রিফ্রেশ করে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, এমএস ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজের সুবিধার্থে, সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারের লিখিত সুপারিশক্রমে হল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া জরুরি সেবার আওতাভুক্ত জনবলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখার প্রচলিত নিয়মনীতি কার্যকর থাকবে।
সব মিলিয়ে হাবিপ্রবির এই ১৫ দিনের ছুটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জীবনে এনে দিয়েছে একটুখানি থামার সুযোগ—পরিবারের কাছে ফেরা, নিজের মতো করে সময় কাটানো এবং নতুন বছরে নতুন উদ্যমে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়।
শীতের কুয়াশার ভেতর দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাই অনেকের চোখেমুখে ক্লান্তির চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে প্রশান্তির হাসি।
একে