আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ইব্রাহিম রাইসিকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
ইরনা জানিয়েছে, মঙ্গলবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ইব্রাহিম রাইসিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সত্যায়ন করেন তিনি। এর মাধ্যমে আগামী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পেলেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি।
আগামী বৃহস্পতিবার ইরানের জাতীয় সংসদে প্রেসিডেন্ট রাইসি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন। ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বের ৭৩টি দেশ থেকে অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান ইব্রাহিম রাইসি বিজয় লাভ করেন। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইব্রাহিম রাইসি ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
আজকের অনুষ্ঠানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা রাইসিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়েছে। হাসান রুহানি গত দুই মেয়াদে আট বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। মাত্র ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইব্রাহিম রাইসি দুই কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪ ভোট পেয়েছেন।
নিজেকে ‘দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অভিজাতদের’ ঘোর বিরোধী হিসেবে প্রকাশ করা রাইসি রাজনৈতিক দিক থেকে শিয়া ইসলামি কট্টরপন্থার সমর্থক।
দেশের গণতন্ত্রপন্থিদের পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশগুলোরও কঠোর সমালোচক। তবে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি প্রায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের বিষয়ে সুর নরম করেছেন তিনি।
সময় জার্নাল/আরইউ