জীবনের অঙ্কগুলো মেলানো বড় দূর্বোধ্য।
কষ্টগুলো বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে
যতোই তাকে দূরে ঠেলে দিতে চাই
ততোই শিকড় গেড়ে বসতে চাই
মনের আঙিনায়।
কি এক অদ্ভুত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা।
জীবনকে নিজের হাতে বিসর্জন দেয়া
সেও তো ঘোরতর অপরাধ।
বড় দিকভ্রান্ত পথিকের মতো তাই শুধুই ছুটে চলা।
মানুষ ভীষণ ভালোবাসার কাঙাল।
এক বিন্দু সুখকর অনুভুতি
রাঙাতে পারে তার অস্থির আত্মাকে,
সাফল্য এনে দিতে পারে সকল কাজে।
মানুষ সত্যি বড় অদ্ভুত প্রাণী।
মন খারাপের বাঁশি একবার বাজলে
যেন সেটা বেজেই চলে
রংধনুর রংয়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে
অন্তরাত্মায়।
রচিত হয় মৃন্ময় ল্যান্ডস্কেপ
অঝোর ধারার বর্ষণে প্লাবিত হয় দুকূল।
কষ্টের তীব্রতা
অবিরাম বেড়েই চলে।
বিরহের করুণ সুর ধ্বনিত হয় অন্তর বাহিরে।
কেও জানে না সে সুর
কতটা পুড়িয়ে দেয় জীবনকে,
বিষাদময় করে তোলে বেঁচে থাকাকে
সব গিয়ে জমা হয় দূর আকাশের
সুদূর নীলিমায়।
ভালোবাসাহীন বেঁচে থাকা
অকস্মাৎ হয়তো যাবে থেমে
অপরাহ্নের কোন এক দূর্বল আলোতে।
সেদিনেই হবে অবসান
অস্থির চেতনার বেদনা মাধূর্য বয়ে বেড়াবে নীল দিগন্তে।
সময় জার্নাল/এসএ