ইসাহাক আলী, নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় যোগীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণকাজ শেষ না হতেই ভেঙ্গে গেছে শহীদ মিনার। নিম্নমানের কাজের
কারণে বৃষ্টিতে ভিজে শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে পড়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় একটি পাগল ব্যক্তি শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে দিয়েছে।
জানা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রুটিন মেইনটেইনেন্স বাবদ বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই শহীদ মিনারের কাজটি করা হয়। প্রায় এক বছর পূর্বে স্কুল পরিচালনা কমিটির অধীনে কাজটি করা হয়। কাজটি শুরুর পর শহীদ মিনারের সিঁড়িসহ তিনটি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। বেদীর অংশে মাটি ভরাট করে রাখা হলেও তা ঢালাই বা প্লাস্টারের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ না হতেই শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দুইটি ভেঙ্গে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করার কারনে সামান্য বৃষ্টিতে ভিজে শহীদ মিনারের স্তম্ভ ভেঙ্গে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মিন্টু জানান, প্রায় মাস খানেক পূর্বে তিনি শহীদ মিনারটি ভাঙ্গা দেখতে পান। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথেই প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি তিনি অবহিত করেছেন।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিলুফার নার্গিস বলেন, রুটিন মেইনটেইনেন্স বাবদ বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কাজটি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু ওই টাকায় কাজটি শেষ করা যায়নি। পুরো শহীদ মিনারটি নির্মাণে আরও প্রায় দেড় লক্ষ টাকার প্রয়োজন । সরকারি বরাদ্দ পেলে পুরো কাজটি শেষ করা সম্ভব হতো। তবে কয়েকদিন আগে শহীদ মিনার ভাঙ্গার বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। করোনার কারণে সেটি মেরামতের উদ্যোগ নিতে দেরি হলেও মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তবে স্থানীয় একটি পাগল ব্যক্তি নির্মানাধীন ওই স্তম্ভ দুটি ভেঙ্গে ফেলেছে বলে তিনি জেনেছেন।
এ ব্যাপারে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি মাহাবুব আলম বলেন, একবছর পূর্বে তার দায়িত্বে মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি দায়িত্ব থাকাকালে শহীদ মিনার নির্মাণকাজ শুরু হলেও ভাঙ্গার বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, স্থানীয় একটি পাগল ব্যক্তি শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলেছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন। তবে তা মেরামতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এমআই