আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ১০০-র বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ কোটি ২৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ লাখ ৮৯ হাজার।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ হাজার ১০৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে দেড় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৬০৫ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৯৩ হাজার ১২১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে চার হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯০১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৭০৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭ হাজার ১২৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৪১ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৩৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ৭ হাজার ৮৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ১০ জনের।
এদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ১৫৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭০০ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৭ হাজার ৪০১ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৩ জন, রাশিয়ায় ৬৪ লাখ ২ হাজার ৫৬৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৬০ লাখ ১৪ হাজার ২৩ জন, ইতালিতে ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৭ জন, তুরস্কে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৪১ জন, স্পেনে ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৩২ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন এবং মেক্সিকোতে ২৯ লাখ ২২ হাজার ৬৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১২ হাজার ১৫৮ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬৩ হাজার ৩০১ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ১৭৮ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ১৮৭ জন, তুরস্কে ৫১ হাজার ৯৭৬ জন, স্পেনে ৮২ হাজার ৬ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ২৭১ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৫ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সময় জার্নাল/এমআই