সময় জার্নাল ডেস্ক : গত সোমবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়ির ষষ্ঠ তলায় গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে আগুন লেগে শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে গৃহকর্তা মো. মিশাল (২৬) মারা গেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিকে বাকি পাঁচজনের অবস্থাও গুরুতর।। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, পোশাক শ্রমিক মিশালের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।
নিহতের স্ত্রী মিতা বেগম (২৩), তাদের মেয়ে আফসানা আক্তার (৪), দেড় বছরের ছেলে মিনহাজ, মিশালের দুই শ্যালক মো. মাহফুজ (২৪) ও সাব্বির হোসেন (১৫) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পরিদর্শক বাচ্চু বলেন, ‘তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ১০ থেকে ৮০ শতাংশ দগ্ধ তাদের শরীর।’
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর পতেংগার মোড় এলাকায় নাসরিন আক্তারের মালিকানাধীন ছয়তলা বাড়ি হাজী ভিলার ষষ্ঠ তলার ভাড়াটে বাসিন্দার ফ্ল্যাটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এক মাস আগে ষষ্ঠ তলার তিন রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে ঐ পরিবার। গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে ওই ফ্ল্যাটের বিভিন্ন রুমে তা জমাট বেঁধে থাকে। রাতে খাওয়ার পর পরিবারের কেউ সিগারেট অথবা মশার কয়েল জ্বালানোর উদ্দেশে আগুন জ্বালালে মুহুর্তের মধ্যে ঘরে আগুন ধরে যায় এবং অন্যান্য রুমে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। তাদের চিৎকারে ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা এসে আগুন নিভিয়ে দগ্ধদের উদ্ধার করে এবং পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সময় জার্নাল/এমআই