সময় জার্নাল প্রতিবেদক : পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন নুরুন্ননাহার সোনিয়া নামক এক পুলিশ ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে। নুরুন্নাহার নিজেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলাটি করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মামলার বাদী এবং অভিযুক্ত দুই জনেই সুদানে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় এসসিসি-৫, সুপার ক্যাম্প, নর্থ ডারফুর, সুদান বাদিনীল বাসায় ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর আনুমানিক দুপুর ৩টার দিকে, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে দুপুর ১টায় এবং ৩ মার্চ ২০২০ সালে নুরুন্নাহারকে মৌখিকভাবে বিবাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ২৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সুদানের খার্তুমে হোটেল শামলোতে ধর্ষণ করা হয়।
মামলার অনুলিপিতে দেখা যায়, ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকার হোটেল ডি মেরিডিয়ান লিমিটেডের রুম নাম্বার ২০৬ এবং ১০ নভেম্বর ২০২০ থেকে ১৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত একই হোটেলের ৩০৬ নাম্বার রুমে ধর্ষণ করার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নুরুন্ননাহার সোনিয়া।
উল্লখ্যে, ২২ ডিসেম্বর ধর্ষণরে ঘটনা উল্লেখ্য করে নুরুন্ননাহার সোনিয়া অভিযোগ করেছেন, সেদিন আনুমানিক দুপুর ১টার সময় তার বাসায় মোক্তার হোসেনে প্রবেশ করে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।
এই ঘটনার পর পুলিশ সুপার মুক্তার বারবার তার বাসায় আসতে চাইলে তাকে আর প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার পরও জোরপূর্বক তার বাসায় প্রবেশ করতে চাইলে তখন নুরুন্ননাহার তাকে ফোন করে বলেন, আপনি আমার দরজা ধাক্কাচ্ছেন কেন? আমি আপনাকে আমার বাসায় ঢুকতে দিব না। আপনি আমার বাসায় ঢুকে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করেছেন। আমি আপনাকে নিষেধ করার পরও আপনি আমার বাসায় ঢুকতে চাচ্ছেন কেন? দয়া করে আপনি চলে যান। সে সময় আশপাশের মানুষ তার নুরুন্নাহারের কাছে জানতে চাইলে এসপির ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি তিনি।
সময় জার্নাল/এসএ