সময় জার্নাল ডেস্ক : ‘গভীর রাতে সাংবাদিকের বাড়িতে পুলিশ’। এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজ টাইমলাইনে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন। পাঠকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো......
ফ্রুটস ভ্যালী এগ্রো প্রকল্পের কাজে আমি এখন চাঁদপুরের শাহতলী এলাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই জানতে পারলাম রাত প্রায় আড়াইটায় চাঁদপুর থানার একদল পুলিশ এসেছিল আমাকে গ্রেফতারের জন্যে। শুনেই স্তম্ভিত। প্রায় ৩৭ বছর সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। জ্ঞানত কোন অপরাধ করিনি।
পেশাগত কারনে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব নজিবুর রহমানের ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হয়েছিলাম আমি এবং যমুনা গ্রুপ চেয়ারম্যান।একাধিক মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা হয় আমার বিরুদ্ধে। যা পুরো দেশবাসী অবগত। এরমধ্যে বিতর্কিত ৫৭ ধারার মামলা এবং কথিত পর্নোগ্রাফি মামলা আদালতে স্বাক্ষ্য প্রমাণে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক প্রমাণিত হয়। দুটি মামলা থেকেই আদালত আমাকে নির্দোষ হিসেবে বেকসুর খালাস দেন। ২০১৫ সালের করা সেই মামলার সেই সময়কার একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা সাথে নিয়ে চাঁদপুর থানার এসআই মোস্তফা গভীর রাতে আমার বাড়িতে এভাবে আসতে পারেন?
ফোন করলাম এসআই মোস্তফাকে। জানালেন, ১৫ সালের একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। সেই জন্যে রাত আড়াইটায় ওসির অনুমতি নিয়েই নাকি আমার বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরে আমার ভাতিজা তাকে জানিয়েছে, সেই মামলা এখন আর নেই। আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এই কথা শুনে তিনি ফেরত এসেছেন। এরপর জানালেন, বিকালে আবার আসবেন চা খেতে।
আমি জানি না তামাদি হয়ে যাওয়া কয়েক বছর আগের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে গভীর রাতে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ আসতে পারে কি না। যিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস করেন। ভাগ্য ভাল, গভীর রাতে কেউ বিষয়টি আমাকে জানায়নি। বা পুলিশের মুখোমুখি আমাকে হতে হয়নি। কিন্তু এমন হয়রানির অর্থ কি? তীব্র নিন্দা জানানো ছাড়া আর কি করতে পারি?