মাহমুদুল হাসান, কুবি প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬ তম শাহাদাতবাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১৫ আগস্ট (রবিবার) সকাল ১০.৩০ টায় কালো ব্যাজ ধারণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এই শোক র্যালীতে অংশগ্রহণ করে।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে সকাল ১১.০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান; রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আবু তাহের; শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: শামিমুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।
পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম এর সঞ্চালনায় এবং ড. মোঃ শামিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম না হলে আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে আমরা অকৃতজ্ঞ বাঙালি আমাদের জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছি। এই হত্যার দায় শুধু কয়েকজন খুনির নয়, আমাদের প্রত্যেকেরই। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল।"
তিনি আরও বলেন, "কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হবে বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এবং আমার এই স্বপ্ন আমি আপনাদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছি। আমরা একটি শৃঙ্খলার মধ্যে এসেছি। আপনারা এ শৃঙ্খলা ধরে রাখুন। ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।"
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, "আজকের এই বিশেষ দিনে বঙ্গবন্ধুকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়লে জানা যায় সেই ছোটবেলা থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি দিন, প্রতিটিক্ষণ বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য ইতিহাস রচনা করেছেন। তিনি ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা যার একক নেতৃত্বে ৭ কোটি বাঙালি জনতা একত্রিত হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।"
উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস, একাডেমিক ভবন ও ডরমেটরিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল এবং কুরআন খতম করা হয়।
সময় জার্নাল/এমআই