তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি: জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির (সতিকসাস) ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে।
রোববার রাত ৯ টায় 'শোকে স্মরি: শোকে শপথ' শিরোনামে সতিকসাসের ফেসবুক পেজে এ আলোচনা হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
সংগঠনটির সভাপতি শামিম হোসেন শিশিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন তিতুমীর কলেজ উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক তালাত সুলতানা ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এমএস কামাল উদ্দিন হায়দার, চ্যানেল আই-এর জয়েন্ট অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর তরিকুল ইসলাম মাসুম।
সতিকসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ও সহযোগী সদস্য মেহেরুজ্জামান সেফু।
প্রধান বক্তা হিসেবে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, বঙ্গবন্ধুর বেঁচে থাকা ৫৫ বছরের ৫৩ বছর জীবনে তার কর্মের মাধ্যমে এই স্বল্প সময়ে বিশ্বব্যপী যেই দীক্ষা, যেই নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তা ইতিহাসে লক্ষণীয়। সমুদ্রের গভীরতা আমারা মাপতে পারি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মেধা, বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা, স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিভিন্ন কৌশল, তার জীবনের গভীরতা মাপা সম্ভব নয়। তাই বঙ্গবন্ধুকে বেশি করে জানার জন্য তার জীবনের যেই লক্ষ্য তা নিয়ে এগোতে হবে। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সর্বত্র জানানোর যে মহাপরিকল্পনা ছিলো তা করোনা সংক্রমণের জন্য হয়ে উঠেনি। তবে তা খন্ডিত আকারে আমরা উপস্থাপিত করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪ এর নির্বাচন, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য পদ ত্যাগ করে আওয়ামী লীগ গঠিত করা,৫৮ সালে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, আন্দোলন, ৬ দফা উপস্থাপন, ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতার পরে বাঙালি জাতির আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন ছিলো। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি যারা বাঙালি জাতির স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে নাই তারা ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পুরো জাতিকে বিভক্ত করে দেয়। বাঙালি মাথা উঁচু করে বাঁচবে, সোনার বাংলা বিনির্মিত হবে বঙ্গবন্ধুর এইধারা বন্ধ করে। এদের লক্ষ্য ছিলো বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করা নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিনাশ করার জন্যই এই হত্যাকান্ড করেছিলো।
এছাড়া স্বাগত বক্তব্যে শামিম হোসেন শিশির বলেন, আজকের দিনটি বাঙালি জাতির শোকের দিন,হারানোর দিন, কান্নার দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যখন বাংলাদেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ঘাতকের দল তখন বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারকে হত্যা করে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু শূন্য করেন। শোকের এইদিন টিকে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণে আমাদের এই আয়োজন।
সময় জার্নাল/এমআই