আন্তর্জাতিক ডেস্ক।সময় জার্নাল : চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে আগের দিনের তুলনায় ফের বেড়েছে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৭ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ কোটি ৮৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৮২ হাজার।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৬০৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় পাঁচশ। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৫ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১৮ হাজার ৫০৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৮৬ লাখ ৫২ হাজার ৬৯২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত দুই দিনে সংক্রমণ অনেকটা কমে এলেও মঙ্গলবার তা ফের লাখের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৮০১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার ২১৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৪ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৪৫ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৩৩ জনের।
এদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৮৭ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮১ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৭২৫ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ১১২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫৫ জন। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৯৪ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৯৮ হাজার ৪৮৩ জন মারা গেছেন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৮৬৪ জন, রাশিয়ায় ৬৬ লাখ ২১ হাজার ৬০১ জন, যুক্তরাজ্যে ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৩ জন, ইতালিতে ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩৮ জন, তুরস্কে ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৬ জন, স্পেনে ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ২৬৬ জন, জার্মানিতে ৩৮ লাখ ৩১ হাজার ৮০৬ জন এবং মেক্সিকোতে ৩১ লাখ ১ হাজার ২৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১২ হাজার ৭৫৩ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৭১ হাজার ৩০৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৯৭৯ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ৪৫৬ জন, তুরস্কে ৫৩ হাজার ৩২৪ জন, স্পেনে ৮২ হাজার ৫৯৫ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৩৮৪ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮০ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সময় জার্নাল/আরইউ