সাব্বির আহম্মেদ, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ইউএনও পরিচয় দিয়ে ল্যাপটপ দেওয়ার কথা বলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাসহ চার জনের কাছ থেকে আট হাজার টাকা করে ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। টাকা গুলো প্রদান করেছেন উপজেলার ভদ্রকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভদ্রকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমুন নাহারের মুঠোফোনে ০১৮৬৩-৯৭৫৬৮২ নম্বর থেকে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনাদের স্কুলে সরকারিভাবে ল্যাপটপ বরাদ্দ এসেছে। আর এজন্য খরচ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষক প্রতি আট হাজার টাকা ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংক হিসাব ০১৮৪৯-৩৯৩৪৭৩ নম্বরে পাঠাতে হবে।
এরপর প্রধান শিক্ষিকা নাজমুন নাহার, সহকারী শিক্ষক কল্লোল হাসান এবং লায়লা আনজুমান তিনজনে চব্বিশ হাজার টাকা পাঠান।
এদিকে একই নম্বর থেকে একই কথা বলে উপজেলার দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জু আরা এর কাছ থেকেও আট হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।
ভদ্রকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কল্লোল হাসান বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের তিন জনের কাছ থেকে ল্যাপটপ প্রদানের নাম করে চব্বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আমরা সরল বিশ্বাসে টাকা গুলো প্রদান করি।এখন বুঝতে পারছি আমাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে’।
আক্কেলপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র পরিকল্পনা করে এমন কাজ করেছে। এবিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং সকলকে প্রতারক চক্রের বিষয়ে কঠোরভাবে সচেতন করে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে’।
আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদারকি করছি। প্রতারকের নম্বর গুলো দিয়ে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে’। প্রতারক চক্রকে খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘ইতিমধ্যে থানায় দুইটি ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কোন প্রতারক চক্র যাতে প্রতারণা না করতে পারে সে ব্যপারে সকলকে কঠোরভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতারক বা প্রতারক চক্রের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি’।
সময় জার্নাল/এমআই