সময় জার্নাল প্রতিবেদক : জানিপপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব। তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে ধর্মীয় উদারতা প্রদর্শনে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেন। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের কারণে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়।
বুধবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপের আয়োজনে জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের পিএইচডি গবেষক, কলামিস্ট ও টিভি ব্যক্তিত্ব পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কলকাতার মানুষ খুব পছন্দ করেন। এখান থেকেই তাঁর আন্দোলনের হাতেখড়ি হয়। তিনি রাজনীতিকে ধর্মান্ধতা থেকে মুক্ত করতে পেরেছিলেন।
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও জানিপপের সিলেট বিভাগের সহ-সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মো. আশ্রাফুল করিম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু উদারতা প্রদর্শের ক্ষেত্রে অমায়িক ছিলেন। জাতির পিতা বাল্যকাল থেকেই সাহসী প্রকৃতির ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতার পরিচয় পাওয়া যায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার দেওয়ান নুসরাত জাহান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিলেন। তরুণ বয়সেই তাঁর মধ্যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলি ফুটে উঠেছে। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
রয়েল ইনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান দিপু সিদ্দিক আজকের আলোচনায় বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু তরুণদের মধ্যে সক্রিয়তাবোধ জাগ্রত করতে পেরেছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সৎ সাহস জাগ্রত করণে তিনি তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখাতে পেরেছিলেন।
জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানিপপের মাসব্যাপী আলোচনা সভা সত্যিই প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাঙালী জাতিকে সংগঠিত করার জন্য সর্বদাই বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি।
জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার, লেখক, ও গবেষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সুভাসচন্দ্র বসু ও মহাত্মা গান্ধীর সংগ্রাম বঙ্গবন্ধুর জীবনে প্রভাব ফেলেছিলো। হোসেন শহীদ সোহরাওর্দি এবং আবুল কাশেম ফজলুল হক প্রমূখ গুণী ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে এসে তিনি নিজেকে গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার আদায় ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার ও গবেষক নাজমুল হক শ্রেয়াস বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী নেতা। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বেই তিনি এ বঙ্গের নাম বাংলাদেশ রেখেছিলেন।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার যথাক্রমে আফসানা সনি, মো. খাদেমুল ইসলাম, অর্ণব মুর্শেদ ও সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল তোফায়েল।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার মো. কামাল উদ্দিন এবং ভারত থেকে সংযুক্ত ছিলেন শ্রীমতি চন্দ্রাবালী সেন, শ্রীমতি উর্বশী গুপ্তা ও শ্রী অদ্বীপ পাল চৌধুরী।
সময় জার্নাল/এসএ