আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে কান্দাহারে সরিয়ে নেয়ার চিন্তা করছে সদ্য আফগানিস্তান দখলে নেওয়া তালেবান।
শনিবার দেশটিতে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা' গঠন নিয়ে আলোচনা শুরুর প্রেক্ষাপটে তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের আবদুল কাহার বালখি আলজাজিরার কাছে স্বীকার করেছেন, কাবুল বিমানবন্দর এখনো ফ্ল্যাশপয়েন্ট হিসেবে রয়ে গেছে। তবে তিনি জানান, যে সমস্যার কারণে বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি হাজার হাজার লোককে সরিয়ে নিত তাড়াহুড়া করার কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে লোকজন যেভাবে বিমানবন্দরের দিকে ছুটে যাচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা সবার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছি। এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর সিনিয়র সদস্য থেকে জুনিয়র সদস্যের জন্যও সাধারণ ক্ষমার কথা জানিয়েছি। যে ভয়, যে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে, তার কোনো কারণ নেই।
বালখি বলেন, নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি আরো বলেন, রাজধানী কাবুলকে তালেবানের জন্মস্থান কান্দাহারে সরিয়ে নেয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, কে সরকার গঠন করবে, কে করবে না, সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে অন্তর্ভুক্তমূলক সরকার গঠনের আলোচনা চলছে।
নতুন সরকার গঠনে বিলম্ব কিংবা কে নতুন তালেবান প্রশাসনের নেতৃত্ব দেবেন, তা ঘোষণা করতে বিলম্ব হওয়ায় আন্দোলনটি এ নিয়ে যে কতটা অপ্রস্তুত ছিল, তাই ফুটে ওঠেছে। পাশ্চাত্য-সমর্থনপুষ্ট বাহিনীর আকস্মিক পতনের কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তালেবান নেতারা শুরুতে কাবুলে প্রবেশ করতে চাননি। ঘটনাপ্রবাহ এত দ্রুত ঘটে যে, সবাই অবাক হয়ে যায়। আমরা যখন কাবুলে প্রবেশ করি, তখন এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমরা শুরুতে ঘোষণা করেছিলাম, আমরা কাবুলে প্রবেশ করতে চাই না। আমরা কাবুলে প্রবেশ করার আগে একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম এবং একটি যৌথ ও অন্তর্ভুক্তমূলক সরকার চেয়েছিলাম। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাদের স্থানগুলো থেকে সরে গেলে আমরা আমাদের বাহিনীকে কাবুলে প্রবেশ করে নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলি।
তবে এ ব্যাপারে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নীরব রয়েছেন।
সময় জার্নাল/আরইউ