নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ বা সম্পত্তি ক্রোকের কোনো ক্ষমতা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নাই। এমনকি সেই সম্পদ যদি অপরাধলব্দ হয়ে থাকে। এ ধরনের কোনো সম্পদ ক্রোক বা ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে চাইলে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সিনিয়র স্পেশাল জজ বা বিচারিক আদালতে আবেদন করতে হবে। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আদেশ দিলে তখন ব্যাংক হিসাব জব্দ বা সম্পত্তি ক্রোক করার সুযোগ রয়েছে।
‘বেলায়েত হোসেন বনাম দুদক’ মামলায় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, দুদকের কোনো তদন্ত কর্মকর্তা কারো ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিতে পারেন না। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে আদালতের আদেশে ব্যাংক হিসাব জব্দের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজারে বেলায়েত হোসেন নামে এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তা অবৈধ ঘোষণা করা হলো।
রায়ে বলা হয়েছে, দুদকের আইন ও বিধিতে কোনো অনুসন্ধান বা তদন্ত কর্মকর্তা এমনকি অন্য কোন কর্মকর্তাকে এ ধরনের অপরাধলব্দ সম্পত্তি ক্রোকের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। ফলে এই মামলায় দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যাংক হিসাব জব্দে যে চিঠি দিয়েছে তা শুধু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনিই নয়, ক্ষমতার অপব্যবহারও বটে।
গত ৬ জানুয়ারি দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন কক্সবাজারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের ব্যাংক হিসাব জব্দে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কক্সবাজার শাখার ম্যানেজারকে নির্দেশ দেন। ঐ নির্দেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। ঐ রিটের রুল গ্রহণ করে এ রায় দেওয়া হয়।
সময় জার্নাল/এমআই