এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট : আশেপাশের খাল যেন ভরাট না হয়। পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয়। মানুষের ক্ষতি যতটুকু সম্ভব কমিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে হবে। ৩০ আগস্ট সোমবার দুপুরে মোংলার চিলা ইউনিয়নের কোলাবাড়ীতে বন্দর কর্তৃক পশুর নদের ড্রেজিংয়ের বালুতে কৃষিজমি ও মৎস্য খামার ক্ষতিক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুর রহমান একথা বলেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ড্রেজিংয়ে ক্ষতিক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনুর আলম, পশুর নদীর ইনারবার চ্যানেল প্রকল্প পরিচালক বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী শেখ শওকত হোসেন, হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফকরউদ্দিন, উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, সুন্দরবন ইউনিয়নের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইজারাদার ইকরাম হোসেনসহ পাঁচ শতাধিক কৃষিজমি ও মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমি ও মৎস্য খামারের মালিকদের পক্ষ থেকে মাফতুন আহেমদ মুকুল, হুমায়ূন কবির, মোঃ আলম গাজী, মুকুল শিকদার, মোঃ আলাউদ্দিন এবং চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন, এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র সম্বল কৃষিজমি ও মৎস্য খামারের ক্ষতি করে আমরা ড্রেজিংয়ের বালু ফেলতে দিতে পারি না।
তারা ডিসির কাছে অভিযোগ করে বলে, কোন ধরনের নিয়ম-নীতি না মেনেই বন্দর কর্তৃপক্ষ বালু ফেলছে। জমির মালিকরা এসময় ডিসির কাছে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত জীবনের চিত্র তুলে ধরেন।
সময় জার্নাল/এমআই