রেজাউল করিম রেজা। কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নীচু এলাকার অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মানুষের পাশিপাশি গবাদি পশুরও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।
কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক মনজুরুল হক সাংবাদিকদের জানান, চলমান বন্যায় জেলায় ১৬ হাজার ৪শ’ ৬০ হেক্টর জমির রোপা আমন ও ২শ’ ৭০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত ও ১শ’ হেক্টর বীজতলা দীর্ঘদিন পানিতে তলিয়ে থাকায় বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে থাকলেও অন্যান্য সবকটি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রম্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। দু’একদিনের মধ্যে ব্রম্মপুত্র নদের পানি কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।
জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা আ.হাই সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, বন্যার্তদের জন্য ১২ লাখ টাকা এবং ২শ’ ৮০ মেট্রিক টন জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আর কোন ত্রাণ দেওয়া হয়নি।
সময় জার্নাল/আরইউ