আন্তর্জাতিক ডেস্ক। সময় জার্নাল : যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাকে ‘আফগানিস্তানে নবযুগের সূচনা’ হিসেবে অভিহিত করেছে চীন। এর আগে আফগানিস্তান থেকে ওয়াশিংটনের চলে যাওয়ার ‘বিশৃঙ্খল প্রক্রিয়ার’ সমালোচনা করেছিল বেইজিং। খবর এনডিটিভির।
তাড়াহুড়ো করে ও অপরিকল্পিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চীন বারবার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, তালেবানের অধীনে তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক’ সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত।
সোমবার রাতে আফগানিস্তান ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সেনা। এর মধ্য দিয়েই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটেছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যেমন সমালোচনা হচ্ছে, অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে উদযাপন করেছে তালেবান।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আফগানিস্তান বিদেশের সামরিক দখল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আফগান জনগণ জাতীয় শান্তি ও পুনর্গঠনের জন্য নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং আফগানিস্তানে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
বেইজিংয়ের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আফগানিস্তান একটি স্বাধীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ব্যাপকভাবে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করবে এবং কঠোর হস্তে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে দমন করবে।’
তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সহযোগী দেশগুলো আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করলেও চীন দূতাবাস বন্ধের পরিকল্পনা নেই জানিয়ে বলেছিল, ‘বেইজিং আফগানিস্তানের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগকে স্বাগত জানায়।’
সময় জার্নাল/আরইউ