সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, বিশ্বে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় বাংলাদেশে। বজ্রপাতে মৃত্যু ও আহতের ঘটনা আশংকাজনকভাবে বাড়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি। শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রা ও বাতাসে সিসার পরিমাণ যেমন বেড়েছে তেমনি সমানুপাতিক ভাবে বেড়েছে জনজীবনে ধাতব পদার্থের ব্যবহার। দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রেডিয়েশন। বনভূমি বা গ্রামাঞ্চলে উঁচু গাছের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাওয়া, জলাভূমি ভরাট ও নদী দখলসহ নানা কারণে বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ছে। তার সঙ্গে বিশ্বময় তাপমাত্রা পরিবর্তনের প্রভাব বজ্রপাতের ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, বিশ্বে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু কন্যা, মানবতার জননী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতে মৃত্যুকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ডা. এনাম বলেন, এই দুর্যোগ মোকাবেলায় নিবিড় ভাবে কাজ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম অর্থাৎ প্রাক-সতর্কীকরণ ব্যবস্থা ও লাইটেনিং এরেস্টর (বজ্রপাত নিরোধক) স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষায় আমরা নিবিড় ভাবে কাজ করছি।
এর পাশাপাশি আমাদের আরও বেশি সচেতন ও সাবধান হতে হবে। কালবৈশাখীর সময়ে আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলে, খোলা মাঠে-ঘাটে কাজ করা যাবে না। বাসাবাড়িতে আর্থিংয়ের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাছাড়া মাঠে-ঘাটে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগালেও বজ্রপাতে মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
সময় জার্নাল/ইএইচ