সময় জার্নাল প্রতিবেদন। কঙ্গো, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, আফগানিস্তানসহ আটটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ‘উচ্চ ঝুঁকি’তে রয়েছে বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন। বাংলাদেশ, ইয়েমেন, বুরকিনা ফাসো, ভারত, ফিলিপাইনসহ আরও ৪০টি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ‘উচ্চ ঝুঁকি’ রয়েছে বলেও জানিয়েছে শিশু কল্যাণে নিয়োজিত এই সংস্থাটি।
করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে কোটি কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অনেক দেশে পর্যায় ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা চলছে। যদিও বেশিরভাগ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পথে।
‘লস্ট জেনারেশন: এডুকেশন ইন কোয়ার্টার অব কান্ট্রিজ অ্যাট রিস্ক অব কলাপ্স, স্টাডি ওয়ার্নস’ নামক এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান। সেভ দ্য চিলড্রেনের শিক্ষাবিষয়ক এক প্রতিবেদনের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি তা জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, সহিংসতা ও দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যার কারণে দেশগুলোতে ‘শিক্ষার্থীদের একটি প্রজন্ম হারিয়ে যাওয়া’র আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
করোনা ভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়লে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ছুটি আর বাড়ছে না। প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে।
গেল ২৪ আগস্ট জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) জানিয়েছে, করোনা প্রকোপে স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম দেশ। দীর্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন যুক্তরাজ্যের প্রধান নির্বাহী গোয়েন হাইনস বলেন, ‘আমরা জানি, করোনায় স্কুল বন্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র শিশুরা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে শিশুদের শিক্ষা ও জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে মাত্র একটি হচ্ছে করোনাভাইরাস। আমাদের এ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এখনই কাজ শুরু করতে হবে। কিন্তু বিষয়গুলো আগের মতো করাই এখন যথেষ্ট নয়। এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে “অগ্রগামী ও ভিন্নভাবে” সবকিছু গড়ে তুলতে হবে।’
সময় জার্নাল/আরইউ