নিজস্ব প্রতিবেদক।সময় জার্নাল : ভোজ্য তেল, চিনি, মুরগি-ডিমের দামে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। গেল দুই সপ্তাহে হুট করে বেড়েছে ভোজ্য তেল ও চিনির দাম। পণ্য দুটিতে গেল দুই সপ্তাহে ক্রেতার খরচ বেড়েছে ১৬ টাকার বেশি।
চিনির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ টাকা আর সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি আট টাকার বেশি। সম্প্রতি বাজারের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঠেকাতে পণ্য দুটির দাম বেঁধে দিয়েছে মিল মালিক ও সরকার। তবে বেঁধে দেয়া দামে বাজারে তেল ও চিনি তেমন মিলছে না।
গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৩৫ থেকে ১৩৮ টাকা কেজি। সেই হিসাবে লিটার ছিল ১২২ থেকে ১২৪ টাকা। কিন্তু সপ্তাহের মাঝামাঝি হঠাৎ তেলের দাম লিটারে চার টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেন মিল মালিকরা। এ ক্ষেত্রে খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা এবং বোতলজাত তেল ১৫৩ টাকা লিটার নির্ধারণ করা হয়, যদিও সরকারের অনুমোদন নিয়েই এই দাম বাড়ে। এখন সেই দামেও খুব একটা মিলছে না সয়াবিন তেল। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৩ টাকায়। বোতলজাত তেল গত সপ্তাহ পর্যন্ত ১৪৫ থেকে ১৪৮ টাকায় পাওয়া গেলেও চলতি সপ্তাহে তা ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছে।
গত সপ্তাহে কেনা সোনালি মুরগির দামের সঙ্গে আজ কোনো মিল নেই। ২০০ টাকা কেজির মুরগি ২৫০ টাকা চাইছে। শুধু সোনালি মুরগি নয়, সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে দোকানদারেরা ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়িয়েছে। বাড়িয়েছে ডিমের দামও।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির ডিম বেড়েছে ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা।
রাজধানীর বাজারে ডিম-মুরগি ছাড়াও বেড়েছে আটার দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে আটার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ টাকা।
এ ছাড়া চাল, ডাল, সবজির বাড়তি দাম তো রয়েছেই। বাজার এখন চালের দাম বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। চালে ভোক্তার খরচ অনেকটাই বেড়েছে। সবজির বাজারও চড়া। বাজারে এখন গড়ে সবজির কেজি ৫০ টাকা। পটোল, ঢেঁড়সসহ কিছু সবজি ৪০ টাকায় পাওয়া গেলেও কিছু সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম রয়েছে সহনীয়।
রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, হালিপ্রতি মুরগির লাল ডিম বিক্রি হয় ৩৯-৪০ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। হাঁস কিংবা দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হয় ৫৮-৬০ টাকা হালিতে, তবে ডজন বিক্রি হয় ১৬৫-১৭৫ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৪৫-১৫০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি ছাড়াও সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হয় ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা দরে। আর গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬০০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হয় ৮০০-৮৫০ টাকা কেজিতে।
সময় জার্নাল/আরইউ